দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠান ডব্লিওপি ডেভেলপার তাদের স্বপ্ন যাত্রায় প্যারেন্ট কোম্পানি হিসেবে ”স্টারটাইজ” নাম করণ করলো। এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নাম করণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ডব্লিওপি ডেভেলপার “গ্র্যান্ড সারপ্রাইজ ইভেন্ট” নামে একটি গ্র্যান্ড গালা ইভেন্ট আয়োজন করে রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে। এই আয়োজনের মাধ্যমে স্টার্টাইজ নামক প্যারেন্ট কোম্পানিকে সবার সামনে নিয়ে এলো ডব্লিওপি ডেভেলপার।
ডব্লিওপি ডেভেলপার ৩০টির বেশি টুলস, প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট ও তাদের অবদানের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস কমিউনিটিতে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসিস প্রেসিডেন্ট রাসেল টি চৌধুরী, জেসিআই সভাপতি ইমরান কবির ও কোম্পানির কর্মকর্তারা।
এই অনুষ্ঠানে স্টার্টাইজের প্রতিষ্ঠাতা এম আসিফ রহমান বলেন, “প্রথাগত ব্র্যান্ড নয়, আমরা একটি কোর গ্রুপের কল্পনা করি যা উদ্ভাবন ও সামনে এগিয়ে যাওয়াকে আরও উৎসাহিত করবে। এটি ভবিষ্যতে বৈশ্বিক অঙ্গণেও জায়গা করে নেবে।”
নতুন ব্র্যান্ড নাম সম্পর্কে আসিফ রহমান আরও বলেন, আমাদের স্বপ্নটা আরো অনেক বড়, এই স্বপ্নকে আমরা একটা নাম দেয়ার জন্য সব কোম্পানিগুলোকে একটা Brand-Umbrella-এর নিচে নিয়ে আসছি, সেটিইর নামই হলো এই Startise, এটি আমাদের নতুন গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও নাজমুল হাসান রূপক বলেন, “একটি প্যারেন্ট কোম্পানি হিসাবে স্টারটাইজ উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা বৈচিত্র্যতার সঙ্গে আমরা একটি নতুন যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। আমি ও আমাদের টিম এই নতুন অধ্যায়ের জন্য সত্যিই রোমাঞ্চিত এবং প্রত্যাশা করছি আরও ভিন্ন মাত্রায় অনেক কিছু করবো।”
প্রতিষ্ঠানটির সিএমও আফসানা রহমান বলেন, “স্টার্টাইজ একটি নামের চেয়ে বেশি, একটি ব্র্যান্ডের চেয়েও বেশি- এটি প্রযুক্তি এবং এর বাইরেও নতুনত্বের এক প্রতিশ্রুতি। আমরা বাংলাদেশ থেকে কী সম্ভব তা নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার জন্য এবং আমাদের প্লাগিনগুলো ব্যবহার করে টেকসই ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বব্যাপী সাহায্য করার অপেক্ষায় রয়েছি।”
অনুষ্ঠানে এই কোম্পানিটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কোম্পানির আয় থেকে ২০২২ সালের প্রোপিট (লভাংশ) দেওয়া হয়। আর এই প্রোপিট দেওয়ার পদ্ধতিটিও ছিলো বর্তমান সময়ের আধুনিক যুগে সরাসরি প্রদান অর্থাৎ এক ক্লিকে উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই প্রোপিট প্রদান করা হয় যা ছিলো স্মার্ট বাংলাদেশের একটি উদাহরণ।
এই কোম্পানির কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য, টেক ও আইটি ইন্ডাস্ট্রির ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ ৫০০ জনেরও বেশি অতিথি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্টার্টাইজ কী এবং কেনো এই ঘোষণাটি তাৎপর্যপূর্ণ?
স্টার্টাইজ প্রবর্তন করা হচ্ছে নবগঠিত মূল কোম্পানী যেটি WPDeveloper এবং অন্য চারটি কোম্পানীর তত্ত্বাবধান করবে – Templately, xCloud, easy.jobs and Storeware। এই কোম্পানিগুলোর প্রত্যেকটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সমাধানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি এবং ব্যবসার ক্ষমতায়নে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে।
উদাহরণস্বরূপ, WPDeveloper তার 30+ প্লাগইনগুলোর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস সম্প্রদায়ে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যা ৫ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীকে অনায়াসে ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাহায্য করে; প্রায়শই কোডিংয়ের প্রয়োজন ছাড়াই। টেমপ্লেটলি, অন্যদিকে, 5,000+ ডিজাইন এবং ক্লাউড সহযোগিতার সরঞ্জামগুলোর একটি বিশাল লাইব্রেরি অফার করে, যা বিভিন্ন পৃষ্ঠা নির্মাতাদের জন্য সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে৷
easy.jobs হলো একটি AI-চালিত রিমোট নিয়োগকারী SaaS প্ল্যাটফর্ম যা বিশ্বব্যাপী 10,000 টিরও বেশি কোম্পানিকে সাহায্য করে। এক্সক্লাউড ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিংকে বিপ্লব করে, উন্নত সমাধান প্রদান করে যা নির্ভরযোগ্যতা এবং কর্মক্ষমতাকে পুনরায় এগিয়ে নিয়ে যায়। এরপরও স্টোরওয়্যার শপিফাই স্টোরগুলিকে প্রশস্ত করতে, ই-কমার্স স্পেসে বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনে অবদান রাখার জন্যও এটিকে বলা যায় বিশেষজ্ঞ।
এটি মূল কোম্পানি গঠনের ধারণা, স্টার্টাইজ, উদ্ভূত হওয়া বা শুধুমাত্র এই অসংখ্য কাজগুলোকে পরিচালনা করার জন্যই নয়, বরং কোম্পানিকে বৃদ্ধির নতুন স্তরে ত্বরান্বিত করার জন্য। এটির প্রভাব শুধু স্থানীয় থাকবে না বা এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশী প্রযুক্তি শিল্পকে সুপারচার্জ করবে না, এটি বিশ্বের বহুদূরে পৌঁছে যাবে, যা বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতকে আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।
উদ্ভাবন এবং সমৃদ্ধির একটি নতুন যুগে পদার্পণ
স্টার্টাইজ উন্মোচনের সাথে, WPDeveloper একটি নতুন যুগের সূচনা করলো যেখানে সৃজনশীলতার কোন সীমা নেই এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যত অফুরন্ত সম্ভাবনার সঙ্গে কল্পনা করা হয়েছে। এই কৌশলগত পদক্ষেপটি WPDeveloper-এর উচ্চতা সম্প্রসারণ, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা ও প্রযুক্তিগত সমভূমিকে স্থানীয়ভাবে এবং বিশ্বব্যাপী আকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
স্টার্টাইজের নেতৃত্ব নেওয়ার সাথে সাথে আমরা উত্তেজনাপূর্ণ উন্নয়ন এবং যুগান্তকারী সমাধানগুলো দেখার আশা করতে পারি যা বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে ব্যক্তি এবং ব্যবসায়িকদের ক্ষমতায়ন করবে। আপনি কী এই যাত্রায় যোগ দিতে এবং স্টার্টাইজের রূপান্তরমূলক প্রভাবের সাক্ষী হতে প্রস্তুত?
এই প্রতিশ্রুতিশীল নতুন প্রযুক্তি জায়ান্ট থেকে আরও আপডেট এবং উন্নয়নের জন্য এর সহযোগি হোন আপনিও।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৪ 8:46 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…