আপনার মোবাইল ফোন ভাইরাস আক্রান্ত হলে কীভাবে বুঝবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্টফোনের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে অনেক কাজ সেরে ফেলা সম্ভব। যেমন অনলাইনে ক্লাস, অফিসের মিটিং কিংবা ব্যাংকের বিভিন্ন কাজ ইত্যাদি। তাছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল, মেসেজ করা, বিনোদনের জন্য সিনেমা, নাটক, গান শোনা ইত্যাদি।

ফোন যে কোনো সময় ভাইরাসে আক্রান্ত হতেই পারে। যে কারণে হ্যাকও হতে পারে। হ্যাকাররা বিভিন্নভাবে আপনার ফোনে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেবে। তারপর ফোনের সব তথ্য চুরি করতে থাকে। কয়েকটি লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে পারবেন আপনার ফোন আসলেও ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে কি-না।

দ্রুত চার্জ শেষ হওয়া

Related Post

ফোনের দ্রুত চার্জ শেষ হওয়াকে বলা হয় ব্যাটারি ড্রেনিং। এটি যদি ঘনঘন হয় তাহলে বুঝবেন কোথাও না কোথাও সমস্যা রয়েছে। ফোন চার্জ দেওয়ার পরই দ্রুত হারে চার্জ নেমে যাওয়া ম্যালওয়্যার ভাইরাসেরও একটি লক্ষণ। কারণ হলো এগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চার্জ আরও শুষে নেয়।

অচেনা অ্যাপ

আপনি ফোনে ইনস্টলই করেননি এমন অ্যাপের সন্ধান পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সতর্ক হন। অনেক সময় ফোনের ফাইল ম্যানেজারে গিয়ে এপিকে ফাইল হিসাবে সেভও হয়ে যায় এই সব অ্যাপ। এগুলো ধীরে ধীরে সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য লোপাট করতে শুরু করে দেয়। এমন অ্যাপ চোখে পড়লে দ্রুত সেগুলো ফোন থেকে মুছে ফেলতে চেষ্টা করতে হবে।

দ্রুত মোবাইল ডাটা খরচ হচ্ছে

অনেক সময় দেখা যায় দ্রুত মোবাইল ডাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আগে যে কাজটা করতে ১০০এমবি ডাটা খরচ হতো। সেটি এখন করতে ২০০এমবি কিংবা তারও বেশি খরচ হচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে যে কিছু না কিছু অসাধু কার্যকলাপ চলছে আপনার ফোনে। কারণ এই ধরনের ম্যালওয়্যার ভাইরাস ব্যাটারির পাশাপাশি দ্রুত হারে মোবাইল ডেটাও খরচ করে দেয়।

হঠাৎ করে ফোনের সেটিং বদলে যাওয়া

আবার অনেক সময় দেখা যায় স্মার্টফোনের সেটিং নিজে থেকেই বদলে যায়। আসলে ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লোপাট করার উদ্দেশ্যে সেটিংস বদলে ফেলেন হ্যাকাররা। এমন কিছু চোখে পড়লেই সাবধান হতে হবে। সেইসঙ্গে ফোন যদি ওভারহিটিং হয় তাহলেও সতর্ক হতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় পারমিশন

আবার ফোনে অ্যাপগুলো যদি অপ্রয়োজনীয় পারমিশন চায় তাহলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। কারণ হলো অনেক অ্যাপ প্রয়োজনীয়তার বাইরেও পারমিশন চেয়ে থাকে। এগুলো মূলত স্মার্টফোনের ক্যামেরা, লোকেশন, কন্টাক্ট, ক্যামেরাসহ একাধিক ব্যক্তিগত তথ্যের অ্যাক্সেস তখন পেয়ে যায়।

ফোন স্লো হওয়া

হয়তো আপনার নতুন ফোন কিকেনার বেশিদিন হয়নি। তারপরও কমে গিয়েছে পারফরম্যান্স। বেশি সাইজের হাই-পারফরম্যান্স অ্যাপ ডাউনলোড না করেও যদি ফোনের গতি এভাবে কমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে ম্যালওয়্যার ভাইরাস ঢুকেছে আপনার স্মার্টফোনটিতে, অর্থাৎ আপনাকে সাবধান হতে হবে। তথ্যসূত্র : মেক ইউজ অব।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৪ 2:06 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

পুষ্টিবিদরা যা বলেন: সুজি খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…

% দিন আগে

বাংলা এবং হিন্দিতে ‘দরদ’-এর ট্রেলার ও গান প্রকাশ [ট্রেলার]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…

% দিন আগে

মুরগির লেগপিস প্রতিদিন খাওয়া কী ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…

% দিন আগে

উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে নানা অপপ্রচার: সাবধান করেছেন সমন্বয়ক মাসউদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…

% দিন আগে

ইলন মাস্ককে এক লাখ সরকারি চাকরি বাতিলের দায়িত্ব দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…

% দিন আগে

গোল্ডেন আউল: ৩১ বছর ধরে চলা গুপ্তধন অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…

% দিন আগে