সন্তানধারণের ঝুঁকি এড়াতে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাচ্ছেন: কোন রোগের ঝুঁকি রয়েছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার সিদ্ধান্ত একান্ত নিজস্ব বিষয়। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শও নেন না অনেকেই। অত্যাধিক হারে গর্ভনিরোধক ওষুধ মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত এই ওষুধ খাওয়ার কারণে কী ক্ষতি হতে পারে শরীরের?

সন্তানধারণের ঝুঁকি এড়াতে অনেক মহিলাই নির্ভর করেন বিভিন্ন সংস্থার গর্ভনিরোধক বড়ির উপর। অনেকেই আবার চিকিৎসকের পরামর্শে এই ধরনের ওষুধ খান। গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই নিজস্ব হয়। অত্যাধিক হারে গর্ভনিরোধক ওষুধ মোটেইও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত এই ওষুধ খাওয়ার কারণে কী ক্ষতি হতে পারে শরীরের?

# টানা দীর্ঘদিন ধরে গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই অত্যাধিক পরিমাণে গর্ভনিরোধক বড়ি না খাওয়াই উত্তম। এই ওষুধ খাওয়ার পর শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় ও সেখান থেকেই জন্ম নিতে পারে অবসাদ।

# আবার ঘন ঘন গর্ভনিরোধক ওষুধ খেলে অনেক সময় স্পটিংয়ের সমস্যাও শুরু হতে পারে। ঋতুস্রাব শুরুর কয়েক দিন আগেই অল্প রক্তপাত হওয়াকে ‘স্পটিং’ বলা হয়ে থাকে। সেটিও কিন্তু বেশ অস্বস্তির। ঋতুস্রাবের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্কই নেই। যে কারণে মাসের অন্য সময়েও হতে পারে এমন। তাই গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ার পরিমাণে রাশ টানাটা জরুরি।

# আবার গর্ভনিরোধক ওষুধের সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্পর্কও রয়েছে। অনিচ্ছাকৃত সন্তানধারণ আটকানোর এই ওষুধ নিয়মিত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। বিশেষ করে যাদের চেহারা ভারি, তাদের চেহারা আরও ভারি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

# অনেক সময় গর্ভনিরোধক ওষুধ হরমোনের ভারসাম্যও বিগড়ে দেয়। এই হরমোন ক্ষরণের সমতা বজায় না থাকার কারণে এর প্রভাব পড়ে চোখের উপর। আর তখন চোখে ঝাপসা দেখা, চোখ থেকে পানি পড়ার মতো সমস্যাগুলো হতে পারে। তাই সতর্ক থাকাটা জরুরি।

# অনেকের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে অথচ গর্ভনিরোধক বড়ি খাচ্ছেন, সেই ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকিও থেকেই যায়। যে কারণে হার্ট অ্যাটাক, এমনকি স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। তাই এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org