কিডনির রোগেরও কারণ হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউরিক অ্যাসি়ড বশে রাখতে শুধুমাত্র ওষুধ খেলেই হবে না। বদল আনতে হবে খাওয়া-দাওয়াতেও। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় যদি কয়েকটি খাবার রাখা যায়, তাহলে সুস্থ থাকা সহজ হয়।

ইউরিক অ্যাসিড যে কোনও বয়সেই বাড়তে পারে। বয়স বাড়লেই এই ধরনের শারীরিক সমস্যা হবে, তার কিন্তু কোনোই মানে নেই। তাই সতর্ক থাকার কোনও বিকল্পও নেই। ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে মানেই হাঁটুতে ব্যথা, গোড়ালিতে যন্ত্রণার মতো নানা উপসর্গও দেখা দিতে শুরু করে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ে তাই বাড়তি সাবধানে থাকতে বলেন চিকিৎসকরা। কারণ হলো, ইউরিক অ্যাসিড যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, কিডনিতেও এর প্রভাব পড়ে। ইউরিক অ্যাসিড বশে রাখার জন্য শুধু ওষুধ খেলেই হবে না। বদল আনতে হবে খাওয়াদাওয়াতেও। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় যদি কয়েকটি খাবার রাখা যায়, তাহলে সুস্থ থাকা আরও সহজ হবে।

কলা

Related Post

দিনের শুরুতে একটা কলা খেলে ইউরিক অ্যাসিড দূরে পালাবে। কলায় রয়েছে ভরপুর পরিমাণে পটাশিয়াম। প্রতিটি অঙ্গ সচল রাখতে পটাশিয়ামের জুড়ি নেই। এছাড়াও, কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ইউরিক অ্যাসিড থেকে দূরে থাকতে দিন শুরু করতে পারেন কলা খেয়েই।

হলুদ

ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভরসা রাখতে পারেন হেঁশেলের এই সাধারণ মশলা হলুদের উপর। প্রদাহ কমানোর উপাদানে সমৃদ্ধ হলুদ ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইউরিক অ্যাসিড যেহেতু হাঁটুতে বেশি পরিমাণে প্রভাব ফেলে, হাঁটুর ব্যথা কমাতেও লাগাতে পারেন হলুদের মিশ্রণ। ইউরিক অ্যাসিড থাকলে প্রতিদিন সকালে এটি খাওয়া যেতেই পারে।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে এই অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীর ভিতর থেকে সুস্থ থাকতে আরও সাহায্য করে। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন এই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের উপরে। গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতেও বেশ উপকার পাবেন।

আপেল

আপেলে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। ফাইবার রক্তের ​ইউরিক অ্যাসিড শোষণও করে নেয়। তাছাড়াও, আপেল ম্যালিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এটি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on মার্চ ১২, ২০২৪ 12:53 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

ইরানি পরিচালকের ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং চাবুক মারার নির্দেশ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের প্রশংসিত চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ রাসুলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং…

% দিন আগে

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি বিচারপতির

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে ফৌজদারি ঘুষ মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট…

% দিন আগে

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: উৎসবমুখর পরিবেশে বেসিস নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসিস প্রদত্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আনন্দমুখর ও অংশগ্রহণমূলকভাবে…

% দিন আগে

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পূর্বেই ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি ঘটেছে সৌদি আরবে। ছেলেকে হত্যার জন্য বিচারপ্রার্থী ছিলেন…

% দিন আগে

বেসিস নির্বাচন ২০২৪-২০২৬: পূর্ণাঙ্গ ফলাফল জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার…

% দিন আগে

সমুদ্রের মধ্যেও পাহাড়!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে