দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলমান ইসরায়েলের হামলার কারণে গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৩৭ জন মা প্রাণ হারাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এই কথা জানিয়েছে।
এদিকে প্রতিবেদনটি এমন এক সময় প্রকাশিত হলো যেই সময় আবরবিশ্ব ২১ মার্চ তাদের বার্ষিক ‘বিশ্ব মা দিবস’ পালন করে। মা দিবস উপলক্ষ্যে দি কমিশন অব ডিটেনিজ অ্যান্ড এক্স ডিটেনিজ আ্যাফিয়ার্স ইন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন ও প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার কারণে প্রতিদিন অনেক মা ও শিশু প্রাণ হারাচ্ছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত অক্টোবরে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গ্রুপ হামাসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংঘাত শুরু হওয়ার পর হতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় নারীদের গণগ্রেফতার করছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে মা’সহ ফিলিস্তিনের মহিলা বন্দিদের ওপর ইসরায়েলি অপরাধ ও লঙ্ঘন নাটকীয়ভাবে অনেকটা বেড়ে গেছে।
এইক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, তাদের স্বামী বা ছেলেদের চাপ দেওয়ার জন্য মায়েদের জিম্মি হিসেবে গ্রেফতার করা ও খুব কঠোর পরিস্থিতিতে তাদের আটক করা।’ সামাজিক কর্মীসহ মহিলা ফিলিস্তিনি বন্দিদের অধিকাংশকেই উস্কানি সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। -খবর: সিনহুয়ার।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org