Categories: জাতীয়

ঐতিহাসিক ২৬ মার্চ: আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। মহান এই দিনটি তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। জাতি আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করছে।

আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। মহান এই দিনটি তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। জাতি আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় এই দিনটি পালন করছে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

Related Post

২৬ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন, এটি একটি রক্তাক্ত আনন্দের নাম। ২৬ মার্চ হলো বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা ওড়ানোর এক ঐতিহাসিক দিন।

আজ হতে ৫৪ বছর পূর্বে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাক হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালিদের স্বাধীকার আন্দোলন ও তৎকালীন জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে প্রাপ্ত আইনসঙ্গত অধিকারকেও রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাক হানাদার বাহিনী সারাদেশে শুরু করে এক গণহত্যা।

১৯৭১ সালের কালরাতে হানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হল, রোকেয়া হল, শিক্ষক বাসভবন, পিলখানার ইপিআর সদরদপ্তর এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এক নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে হত্যা করে অগণিত নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক এবং এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতেই পুলিশ, ইপিআর ও সেনাবাহিনী যারা বাঙালি সদস্য ছিলেন তারা শুরু করেন প্রতিরোধ, তাদেরসঙ্গে যোগ দেন দেশের সাধারণ মানুষও। যার ফলশ্রুতিতে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। স্বাধীন দেশ হিসেবে আমরা পতাকা ওড়াতে সমর্থ হই।

জাতি আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করছে। বিশেষ এই দিনটি উপলক্ষে একাত্তরের নিহতদের স্মরণে দোয়া সহ দিনব্যাপি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।

এই দিবস উপলক্ষে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। এই উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অগণিত শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দি ঢাকা টাইমস্ এর পক্ষ থেকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা এবং আন্তরিক অভিনন্দন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on মার্চ ২৫, ২০২৪ 1:47 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

মিলনের নতুন গান ‘কলি যুগে পুরুষের প্রেমের মূল্য নাই’ [ভিডিও]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ মিলন। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে তার…

% দিন আগে

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৮০ সাংবাদিক নিহত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় রবিবার (২৭ অক্টোবর) আরও ৩ জন…

% দিন আগে

ভয়ঙ্কর যুদ্ধ নাকি আদুরে চুমু? দুই গোখরোর শরীরী প্যাঁচ দেখে প্যাঁচে নেটিজেনরা!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একে অপরের দিকে…

% দিন আগে

পুকুর বা ডোবার পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১২ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

পুষ্টিবিদের মতামত: অমলেট খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি প্রশ্ন হলো আপনি কী নিয়মিত অমলেট খান? তবে আপনি…

% দিন আগে

হোয়াটসঅ্যাপ এবার গুজব ঠেকাতে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময় উদ্বেগজনক একটি বিষয় হয়ে উঠেছে গুজব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে…

% দিন আগে