দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাতের কিছু অভ্যাসেই সুস্থ থাকা সম্ভব হয়। রাত্রিকালীন কিছু নিয়ম মেনে চললে অসুখ থেকেও দূরে থাকা যায়। কিন্তু সেইসব কী অভ্যাস? আজ সেটি জেনে নিন।
নিয়ম মেনেও অনেক সময় সুস্থ থাকা সম্ভব হয় না। তবে সুস্থ থাকতে লাগবে বাড়তি সতর্কতা। রাতের কিছু অভ্যাসে সুস্থ থাকা সম্ভব হবে। রাত্রিকালীন কিছু নিয়ম মেনে চললে অসুখ থেকেও অনেক দূরে থাকা যাবে। কিন্তু সেইসব কী অভ্যাস? আজ সেটি জেনে নিন।
# সাধারণ কাজের চাপ ও ব্যস্ততার কারণে রাতে ঠিক করে ঘুম হয় না অনেকের। দীর্ঘদিন ধরে ঘুম কম হওয়ার কারণে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। ক্রমশই ওজন কমতে থাকে। আর তখন ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। কাজের গতিও কমে আসে। পরবর্তীতে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।
# হয়তো মাঝরাতে ফ্রিজ খুলে টুকটাক খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের মধ্যেই। পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। মাঝরাতে খেলে হজম হতে বেশ সমস্যা হয়। যে কারণে গ্যাসের সমস্যা লেগেই থাকে। গ্যাস জমে জমে শরীরে এর ক্ষতিকর প্রভাবও পড়ে। তাই মধ্যরাতের খিদে নিয়ন্ত্রণ করাটা জরুরি একটি কাজ।
# অনেকেই সকাল থেকে পরিশ্রম, অফিসের কাজ, ব্যস্ততা, চাপ, মানসিক উদ্বেগ- সব মিলিয়ে নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগই পান না। অথচ সুস্থ থাকতে হলে নিজের সঙ্গে নিজের সময় কাটানোর প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। অবসর সময় বই পড়ুন, গান শুনুন বা আপনার পছন্দের কাজ করুন। পুরো দিনে অন্তত কিছুক্ষণ সমস্ত কাজ বাদ দিয়ে একেবারে নিজের সঙ্গে থাকুন। এতে করে শুধু শরীরই নয়, মনেরও বিশ্রাম হয়ে যাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মার্চ ২৭, ২০২৪ 3:15 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পর মৌলিক গান নিয়ে মিউজিক ডোমেইনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুম থেকে উঠেই সকাল বেলা দুধ চা খেতে বারণ করেছেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় গায়ক মনির খানের প্রথম অ্যালবাম ‘তোমার কোনো দোষ নেই’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ি-ঘোড়ায় প্রবল এক সংঘর্ষ ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতে। দিল্লি-সাহারানপুর হাইওয়েতে…