দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের নিজেদের মনের গভীরে আমাদের কী চাহিদা লুকিয়ে রয়েছে, তা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না। নিজেকে চেনা অতো সহজ কথা নয়। অথচ এই ছবিই আপনার সামনে নিজের অজানা দিক খুলে দিতে পারে।
আপনি কী নিজেকে ঠিকঠাক মতো চেনেন? নিজের ক্ষমতা, দুর্বলতা সব কী জানেন? মনের গভীরে আসলে আপনি কি চাইছেন, তা কী বুঝতে পারেন? নিজেকে চেনা মোটেও সহজ কাজ নয়। দার্শনিকরা বলে গেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে যদি নিজেকে জানেন তাহলে অর্ধেক যুদ্ধ জেতা হয়ে যায়। যদি শত্রুকে জানেন, তবে বাকি অর্ধেকটা হয়ে যায়।
এখানে অবশ্য যুদ্ধজয়ের বিষয় নয়। আবার বলতে গেলে নিজের মনের গভীর ইচ্ছার সন্ধান পাওয়াও এক রকম যুদ্ধজয় বলা যায়! উপরের ছবিতে আপনি প্রথম কি দেখেছেন, তা আপনার চরিত্রের একটি নতুন দিক- আপনার সামনে খুলে দিতে পারে। যা এতোদিন হয়তো আপনার জানা ছিল না।
ছবিটি দু’রকমভাবেই দেখা যেতে পারে। কেও এই ছবিতে প্রথমে একটি হাতের প্রতিকৃতি দেখতে পারেন। কেও বা আবার দেখতে পারেন কবুতর কিংবা পাখি। প্রথম দর্শনেই আপনি কোনটি দেখেছেন, তার উপরেই মূলত পরীক্ষার ফল নির্ভর করবে।
যদি প্রথমেই আপনি হাত দেখে থাকেন, তবে আপনার নিরাপত্তাহীনতার বোধ কিন্তু প্রবল। আপনি সর্বত্র সেই নিরাপত্তা খুঁজে বেড়াতে থাকেন। আপনি নীতি-নৈতিকতা মূল্যবোধেও বিশ্বাস করেন। আপনি আপনার পরিপার্শ্বের মধ্যে বিশ্বস্ততাও খোঁজেন। যে কোনও ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতাকেও আপনি গুরুত্ব দেন। তবে ঝুঁকি নিতে ভয় পান । চেনা গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করতে পছন্দ করেন।
আর যদি আপনি প্রথমেই পাখি দেখে থাকেন, তাহলে আপনি স্বাধীনতার খোঁজ করছেন। যে কোনও মূল্যেই হোক স্বাধীনতা আপনার কাম্য। রোমাঞ্চকর নতুন অভিজ্ঞতার জন্য সব সময়ই মুখিয়ে থাকে আপনার মন। স্বাধীনতাই আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে আপনি উদার মনে মানুষ। বদলকে সহজভাবেই গ্রহণ করেন। সহজাত স্বতস্ফূর্ততা রয়েছে আপনার মধ্যেও এবং আপনি সৃষ্টিশীল। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org