দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বুদ্ধিমত্তা শুধু বুদ্ধিই নয়। এ হলো বুদ্ধি, যুক্তি, মেধা ও মননের যথাযথ প্রয়োগের ক্ষমতাও। যার এই ক্ষমতা বেশি রয়েছে, তার সাফল্য আর আটকায় কে? আজও রয়েছে সেই বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা? তো হয়ে যাক!
তাই বলে এই নয় যে, বুদ্ধিমত্তায় সেরা না হলে সফল হওয়া যায় না। সাফল্যের জন্য পরিশ্রমওটাও কিন্তু জরুরি। তবে সে সম্পর্ক অবশ্য আলাদা। আপাতত আপনার বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা নেওয়ার একটি সহজ উপায় এখানে দেওয়া হলো।
নীচে ৫টি প্রশ্ন দেওয়া হলো। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সময় ১০ সেকেন্ড করে সময়। তবে সব মিলিয়ে আরও ১০ সেকেন্ড বাড়তি দেওয়া হচ্ছে আপনাকে। অর্থাৎ ১ মিনিটের মধ্যে ৫ প্রশ্নের সমাধান দিতে হবে। দেখুন তো পারেন কি-না?
১। ৬’জনের (ক, খ,গ,ঘ, ঙ, চ) পরিবারে রয়েছে দু’জন বিবাহিত দম্পতি। ক এবং খ বিবাহিত। গ হলো ক-র ভাই। আর ঘ হলো খ-এর কন্যা। ঙ হলো ঘ-এর ভাই। তাহলে চ সম্পর্কে ক-এর তাহলে কী হবেন?
২। টম ও জেরি দুই ভাই। জেরির বাবা হলেন ডেভিড। তবে তিনি কিন্তু টমের বাবা নন। তাহলে টম ও জেরির সঙ্গে ডেভিডের সম্পর্ক আসলে কী?
৩। যদি ৮ যুক্ত ৮’র ফলাফল ৪ হয়, ৬ যুক্ত ৬ সমান হয় ৩ এবং ৪ যুক্ত ৪ এর মান হয় ২ তাহলে ৭ যুক্ত ৭ কত?
৪। যদি চারের ৩ গুণ ১২ হয়, যদি পাঁচের দ্বিগুণ হয় ১০, ৬ এর ৫ গুণ হয় ৩০, তাহলে ৮ এর ৭ গুণ কত?
৫। একটি ক্লাসে ৬ জন ছাত্র। ক, খ, গ, ঘ, ঙ এবং চ। এরা দু’টি সারিতে বসেছে মুখোমুখি। অর্থাৎ প্রত্যেক সারিতে ৩ জন করে। যদি ক এবং খ মুখোমুখি হয়ে বসে, গ এবং ঘ একে অপরের বিপরীত দিকে থাকে, তবে ঙ যদি ক-এর বাঁ পাশে থাকে তাহলে চ-এর ডান পাশে কে বসেছে? তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org