দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গোসল করার সময় কানে পানি ঢুকলে বা ঠাণ্ডা লাগলে অনেক সময়ই কানে তালা লাগে। তবে সেটি কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিকও হয়ে যায়। তবে একটানা কানে ঝিঁ-ঝিঁ লেগে থাকা প্রকৃতপক্ষে এক ধরনের অসুখ।
বাড়ির আশপাশে তেমন কোনও স্কুলও নেই যেখানে ঘণ্টা পড়তে পারে। অথচ কানের মধ্যে একটানা কী যেনো বেজেই চলেছে! গোসল করার সময় কানে পানি ঢুকলে বা ঠাণ্ডা লাগলে অনেক সময়ই কানে তালা লাগে। তবে সেটি কিছুক্ষণের মধ্যে ঠিকও হয়ে যায়। তবে একটানা কানে ঝিঁ-ঝিঁ লেগে থাকা প্রকৃতপক্ষে এক ধরনের অসুখ। চিকিৎসা পরিভাষায় এটিকে বলা হয় ‘টিন্নিটাস’।
এই ‘টিন্নিটাস’-এর দু’টি ভাগ রয়েছে। প্রথমটিতে, রোগীর কানে একনাগাড়ে ঝিঁ-ঝিঁ ডাকে কিংবা যে কোনো ধরনের শব্দ বাজতে থাকে। যা বাইরে থেকে কেওই শুনতে পান না। দ্বিতীয়টিতে আবার রোগী ও চিকিৎসক দু’জনেই বুঝতে পান যে, কানের ভিতরে কোনও ধরনের আওয়াজ হচ্ছে।
নাক, কান ও গলার চিকিৎসকদের মতে, কানে দীর্ঘদিন ময়লা জমতে থাকলে, বা দীর্ঘক্ষণ কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনলেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতেই পারে। কানে এই ধরনের আওয়াজ হলেই বুঝতে হবে, মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত কানের স্নায়ুগুলোতে কোনও সমস্যা রয়েছে। এই আওয়াজ অবশ্য এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম হয়ে থাকে। ৫০ হতে ৬০ বছর বয়সিদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিলেও কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও রয়েছে।
এই রোগ হতে মুক্তির উপায় কী?
এই ধরনের সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসায় হলো ব্যায়াম। তবে পরিস্থিতি যদি জটিল হয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে ‘ম্যাগনেটিক মেথড’-এ চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। তবে এই ধরনের চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়বহুল।
তবে কয়েকটি ব্যায়াম রয়েছে যে ব্যায়ামগুলো করলে কানে ঝিঁ-ঝিঁ লাগার সমস্যা কমে যেতে পারে তা জেনে নিন।
বালাসন
প্রথমেই হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে মেঝেতে বসুন। তারপর আস্তে আস্তে সারা শরীর পিছনে নিয়ে গিয়ে নিতম্ব পায়ের গোড়ালির উপর রাখুন। এরপর কপাল মাটিতে ঠেকান। তারপর হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে তালু উল্টো করে পায়ের কাছে রাখুন। মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে এই যোগাসনটি। দেহে রক্তসঞ্চালনের প্রক্রিয়াকেও স্বাভাবিক রাখে এটি।
মার্জারাসন
প্রথমেই মাটিতে দুই পা ও হাতের উপর ভর দিয়ে বিড়ালের মতো ভঙ্গি করুন। তারপর এক বার পেট ফুলিয়ে মাথা নিচু করে শ্বাস গ্রহণ করুন, আবারও পেট ঢুকিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এই আসন অভ্যাস করুন ৫ বার করে অন্ততপক্ষে ৫ মিনিট করার জন্য।
পশ্চিমোত্তনাসন
সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। পায়ের পাতার অভিমুখ রাখুন ঠিক আপনার দিকে। আর শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। এখন শ্বাস নিন। দু’টো হাত একসঙ্গে মাথার উপর সোজা করে তুলুন। তারপর শ্বাস ছাড়ুন। এখন আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকুন। দু’টো হাত গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছালে একটির কব্জি দিয়ে অপর একটি ধরে রাখুন। আর মাথা রাখুন হাঁটুতে। তারপর শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে শিরদাঁড়া সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। এবার শ্বাস নিন। তারপর আস্তে আস্তে দু’টো হাত সরিয়ে মাথার উপর নিয়ে গিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এখন হাত দু’টো নামিয়ে নিয়ে আগের ভঙ্গিতেই ফিরে যান। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on এপ্রিল ১৫, ২০২৪ 11:57 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিডিও ভাইরাল করতে গিয়ে এক যুবক দেশলাই জ্বালিয়ে পেট্রোলের উপর…