দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরায়েলকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি বলেছেন যে, ইহুদিবাদী দেশ ইসরায়েল যদি আবারও ইরানে হামলার ধৃষ্টতা দেখায়, তাহলে তাদের ধূলায় মিশিয়ে দেওয়া হবে। পাকিস্তান সফরে গিয়ে মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন।
রুশ বার্তা সংস্থা তাসের এক খবরে এই কথা বলা হয়। রাইসি বলেন, সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে হামলার কারণে দাঁতভাঙ্গা জবাব পেয়েছে ইসরায়েল। তারপরও যদি বাড়াবাড়ি করা হয়, তাহলে এবার অস্তিত্ব থাকবে না ইসরায়েলের। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই ইরান হামলার জবাব দিয়েছিলো। কারণ হলো, দূতাবাসে হামলা মানেই কোনো দেশের ভিতরে ঢুকে হামলার সমান অপরাধ করা।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমরা আমাদের মজলুম ফিলিস্তিনি ভাইদের রক্ষায় যা কিছু করার প্রয়োজন সবই করবো।
উল্লেখ্য যে, দামেস্কে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসে হামলা চালিয়ে ৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৩ জনকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য গত ১৪ এপ্রিল ভোরে ইসরায়েলে ৩ শতাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তেহরান।
তবে ইসরায়েলের দাবি হলো, এইসব ড্রোন ওএবং ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই অর্থাৎ ৩৫০টি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশেই ধ্বংস করে ফেলে। তাদের নেভাতিন বিমানঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে ইসরায়েল।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org