দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলীকে নিয়ে কম আলোচনা নেই। এখনও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়ায় শাকিবের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায়। তবে সব আলোচনার অবসান ঘটিয়ে এবার বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শাকিব!
শাকিবকে নিয়ে নানা সময় অপু-বুবলীর নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা আর শুনতে চান না শাকিবের পরিবার। বিচ্ছেদ হওয়ার পরও দু’জনের এইসব চর্চা, কথাবার্তা সমাজ, আত্মীয়স্বজনের কাছে হেয় হতে হয় বলে মনে করছেন তারা। তাই শাকিবের মতামত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখা শুরু করে দিয়েছেন। তাই এই অভিনেতার বিয়েকে কেন্দ্র করে অপু-বুবলীকে বাসায় আসতেও বারণ করেছেন তার পরিবার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটি ফাঁস করেন বুবলী। যা নিয়ে বর্তমানে দর্শকমহলেও বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেন অপু বিশ্বাস। তিনি ওঠিক একই সুর কথা বলেছেন।
শাকিবের ওই পারিবারিক সূত্র আরও জানা যায়, প্রতি ঈদে সিনেমা মুক্তির পূর্বে শাকিবকে টেনে বিভিন্ন মিথ্যাচার করেন বুবলী। নিজের সিনেমাতে যাতে প্রভাব না পড়ে, সে কারণে শাকিব কিছু বলেন না। তবে গত ঈদে বুবলী যা বলেছেন, এতে শাকিব রাগও করেছেন। কলকাতায় গিয়েও বুবলী সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, শাকিব তার সিনেমার কাজে নাকি খুশি, যা পুরোপুরিই মিথ্যাচার।
এদিকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার একটি মেয়ে শাকিবের বউ হিসেবে পছন্দের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। মেয়েটি নাকি যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে তারপর দেশে ফিরেছেন। শাকিবের নাকি ডাক্তার মেয়ে পছন্দ। অনেক বছর পূর্বে ডাক্তার মেয়ে বউ হিসেবে পছন্দের কথা গণমাধ্যমের সামনে বলেওছিলেন শাকিব।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের শেষের দিকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়ক শাকিব খান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org