দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনেকেই নিজের আইপি অ্যাড্রেস সম্পর্কে মোটেও অবগত নন। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আমরা সবাই কোনো না কোনো আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করেই ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকি। নিজের সেই আইপি অ্যাড্রেস জানবেন কীভাবে?
এই আইপি অ্যাড্রেস থেকে চাইলে যে কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অবস্থানের তথ্য এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাসও জানা সম্ভব। তাহলে কিভাবে নিজের আইপি অ্যাড্রেস জানবেন:
পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস
একটি বিষয় হলো পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ। সেইজন্য কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে ব্রাউজারে প্রবেশ করেই গুগল সার্চ ইঞ্জিনে যেতে হবে। সেখানে ‘হোয়াট ইজ মাই আইপি অ্যাড্রেস’ লিখে সার্চ করলে পাবলিক আইপি অ্যাড্রেসটি দেখা যাবে।
প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস
স্মার্টফোন এবং কম্পিউটার থেকে দু’টি ভিন্ন উপায়ে প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস খোঁজা যাবে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটার হতে প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস খোঁজার জন্য প্রথমেই সেটিংস মেনুতে ক্লিক করতে হবে। তারপর নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইন্টারনেট অপশন নির্বাচন করে প্রপার্টিজে চাপতে হবে। নিচে স্ক্রল করলেই আইপিভি৪ অ্যাড্রেস পাওয়া যায়। এটিই হলো প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস। স্মার্টফোন থেকে প্রাইভেট অ্যাড্রেস খোঁজার জন্য প্রথমেই সেটিংসে প্রবেশ করেই কানেকশনসে ক্লিক করুন। তারপর ওয়াইফাই অপশনে ট্যাপ করে নেটওয়ার্কের পাশে থাকা সেটিংস আইকনে চাপতে হবে। তারপর ভিউ মোর অপশনে ক্লিক করলেই আইপি অ্যাড্রেস চলে আসবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org