দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফ্রিল্যান্সিং খাতের প্রবৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করে সম্প্রতি ফ্রিল্যান্সার নিয়ে এক মিটআপ আয়োজন করে জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উপায় এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। অনুষ্ঠিত এই সভায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের সাথে সম্পর্কিত নানারকম প্রতিবন্ধকতা এবং ব্যাংকিং সেবা ও সময়োপযোগী সমাধানের মাধ্যমে সেসব চিহ্নিত করার কথা উঠে আসে।
কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে অবস্থিত কুমিল্লা ক্লাবে সম্প্রতি এই সভার আয়োজন করা হয়। খাতসংশ্লিষ্ট প্রায় ১শ’ জন ফ্রিল্যান্সার এ সভায় অংশ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড (উপায়) এবং ইউসিবির স্থানীয় শাখার কর্মকর্তাগণ।
‘ফ্রিল্যান্সার্স কন্ট্রিবিউশন টু বিল্ডিং স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যান্ড এমএফএস অ্যাজ গ্রোথ ফ্যাসিলিটেটর’ শীর্ষক এই সভায় ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত নানান প্রাসঙ্গিক বিষয় উঠে আসে। ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পর্কিত বিষয় এবং স্বীকৃতির অভাবসহ নানাধরনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন। সভায় বক্তারা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ফ্রিল্যান্সারদের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ এবং একইসাথে, তাদের সহায়তার ক্ষেত্রে ব্যাংক এবং এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
উক্ত সভায় উপস্থিত সবার আলোচনায় ফ্রিল্যান্সারদের কঠোর পরিশ্রম এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও তাদের উল্লেখযোগ্য অবদানের বিষয়টি উঠে এসেছে। উপস্থিত ফ্রিল্যান্সারদের বক্তব্যে জানা যায় যে, প্রায়শই পেমেন্ট ও স্বীকৃতি সম্পর্কিত নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের পাশে থাকার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপায় এবং ইউসিবির কর্মকর্তাগন। উদাহরণ হিসেবে, ইউসিবি স্বাধীন অ্যাকাউন্ট (ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট) এবং এমএফএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যা চিহ্নিত করতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাওয়ার পাশাপাশি এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন তারা।
এছাড়া সভায় ফ্রিল্যান্সিং খাতের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ খাতের সম্ভাবনা, উন্নয়নের সুযোগ এবং কীভাবে উপায় ও ইউসিবি নানারকম সেবার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের প্রচেষ্টাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয় সভায়।
উল্লেখ্য, ইউসিবি-উপায় কো-ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড নিয়ে এসেছে উপায়। এই কার্ড দিয়ে ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে ফান্ড ব্যবহার, অনলাইন এবং অফলাইনে মার্চেন্ট পেমেন্ট এবং বিশ্বের যেকোনো এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে তারা পেওনিয়ার থেকে পেমেন্ট গ্রহণ এবং উপায় অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সবচেয়ে কম খরচে ক্যাশআউট করতে পারবেন। বিশেষায়িত এই ফিচারগুলো ফ্রিল্যান্সারদের জীবনকে সহজ ও স্বাচ্ছদ্যদায়ক করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on মে ২, ২০২৪ 7:10 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকরা বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে চাইলে বেশি করে পানি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) হতে চীনা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিশুরা চকোলেট খাওয়ার জন্য আবদার করে সব সময়। তবে শরীরের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ঈদে মুক্তি পেয়েছে মোশাররফ করিমের চলচ্চিত্র ‘চক্কর’। সিনেমাটি নিয়ে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) হতে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনৈকা তরুণী ২০২২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর একাধিক…