দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯ মে সুনামগঞ্জ সদরের প্রিয়াঙ্গন কমিউনিটি সেন্টারে জেলার ১২টি উপজেলার ২৮৫ জন নির্বাচিত কৃষি উদ্যোক্তাকে নিয়ে দিনব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)-র ‘ভরসার নতুন জানালা’ শীর্ষক দেশব্যাপী কৃষি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক আমিনুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ইউসিবি পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিভির কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’-এর জনপ্রিয় উপস্থাপক এবং কৃষি বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক।
ইউসিবির দিরাই শাখা ব্যবস্থাপক মো. জাফর সাদেক ও উপায়’এর সেলস অ্যান্ড সার্ভিসের চিফ বিজনেস অফিসার মো. মাহবুব সোবহানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কৃষি সবসময়ই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। এই খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ও কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতায় আরও বেশি মানুষকে সক্ষম করে তুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় ‘ভরসার নতুন জানালা’ শীর্ষক এই কৃষি প্রকল্প গ্রহণ করে ইউনাইডেট কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি। ইতিমধ্যে দেশের ৪৯টি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ৫০তম জেলা হিসেবে সুনামগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো এই দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানে ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রেটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, “দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কৃষি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একইসঙ্গে, সময়োপযোগী জ্ঞান ও দক্ষতায় কৃষি উদ্যোক্তাদের অগ্রসর করে তোলাও জরুরি। জলবায়ু-সহিষ্ণু ও টেকসই কৃষি উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী কৃষকদের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ইউসিবি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এধরণের প্রশিক্ষণ টেকসই সমাধান প্রদান ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে উদ্ভাবনীর চর্চা উৎসাহিত করবে, যা কৃষিখাতের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে”।
এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কৃষি উদ্যোক্তারা ব্যবহারিক দক্ষতা উন্নয়ন, বাজার ও বিপণন সক্ষমতা তৈরি, এবং কৃষি-বিষয়ক ঋণ নীতি ও সুদহারের মতো কৃষিসংক্রান্ত কার্যক্রমের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধারণা লাভ করেন।
এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে সারাদেশ ৫৫ হাজার বৃক্ষরোপণ, ৩ হাজার কৃষি উদ্যোক্তাকে কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ‘আরো মাছ (মোরফিশ)’ ডিভাইসের মতো কৃষি-সংক্রান্ত স্মার্ট ডিভাইস বিতরণ, তামাকের বিকল্প শস্য হিসেবে গম ও ভুট্টা চাষে কৃষকদের উৎসাহী করে তোলার মতো বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org