দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা’র (আইএসডি) ক্যাম্পাসে বার্সা একাডেমির নির্ধারিত কোচের সরাসরি তত্ত্বাবধানে টানা ২য় বারের মতো আয়োজিত হতে চলেছে ট্রেনিং ক্যাম্প।
ক্যাম্পটি আগামী ১৯-২৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ফুটবল বিষয়ক এই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে আইএসডি’র পাশাপাশি অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পারবে।
এফসি বার্সেলোনার প্রতিষ্ঠান বার্সা একাডেমি এর শিক্ষার্থীদের ফুটবলের মাধ্যমে কেবল খেলোয়াড় হওয়ার প্রশিক্ষণই দেয় না; একইসাথে, ভালো মানুষ হিসেবেও গড়ে তোলার চেষ্টা করে। এটি বার্সার তৈরি নিজস্ব পদ্ধতি দ্বারা অনুপ্রাণিত স্কুল মডেলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
দক্ষতা উন্নয়ন, দলগত কাজ ও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তরুণ মেধাবীদের ফুটবলে দক্ষ এবং আগ্রহী করে তোলার ক্ষেত্রে একটি প্রতিশ্রুতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখছে আইএসডি’র বার্সা একাডেমি ফুটবল ট্রেনিং ক্যাম্প। এতে সমাদৃত বার্সা পদ্ধতি (বার্সা মেথডলজি) অবলম্বন করে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবেন বার্সা একাডেমির কোঅর্ডিনেটর ফ্রানসেস্ক পুইগডোমিনেক ও কোচ হেক্টর আলবিনানা। কোচদের দক্ষতা এবং নির্দেশনা অংশগ্রহণকারীদের জন্য সহায়ক হবে এবং এই অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বার্সা একাডেমি ফুটবল ট্রেনিং ক্যাম্প সামগ্রিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়, যেখানে প্রতিটি খেলোয়ারকে কেবল প্রায়োগিক দক্ষতা বাড়ালেই হবে না; পাশাপাশি দলগত কাজের গুরুত্ব, সততার সাথে খেলা (ফেয়ার প্লে) এবং খেলার প্রতি মর্যাদার বিষয়টিও শিখতে হয়।
আইএসডি ওএবং অন্যান্য স্কুলের ৬-১৭ বছর বয়সী আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই ক্যাম্পে অংশ নিতে পারবে। বয়সভিত্তিক ৩টি গ্রুপে সেশনগুলো আয়োজিত হবে- অনুর্ধ্ব ১১ বছর বয়সীদের জন্য সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, অনুর্ধ্ব ১৪ বছর বয়সীদের জন্য বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এবং অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের জন্য বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।
ক্যাম্পের জন্য এখনই নিবন্ধন করা যাবে; নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে আগামী ২১ মে পর্যন্ত। এই বিষয়ে অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে। আইএসডি’র শিক্ষার্থীরা https://forms.gle/CuvBXERyWwdvAuZa6 এই লিঙ্ক থেকে ও আইএসডি বাদে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা https://forms.gle/zv5rZDYUSdfg4xHD6 এই লিঙ্ক থেকে নিবন্ধন করতে পারবে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org