দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত ঈদে অর্থাৎ ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও মুক্তি পায়নি শেষ পর্যন্ত। তবে এবার শোনা যাচ্ছে বাঁধনের ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ ঈদুল আযহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
দেশে শত শত খুনের ঘটনার মধ্যে ব্যক্তিক্রমী এক খুনের গল্প উঠে আসছে ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘ব্ল্যাক ওয়ার’খ্যাত নির্মাতা সানী সানোয়ারের নতুন সিনেমাতে! তার নতুন সিনেমার নাম ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’।
ইতিপূর্বে ছবিটির টিজার মুক্তি পায় ১৯ মার্চ। প্রায় ১ মিনিটের টিজারে চৌকস পুলিশ অফিসার চরিত্রে প্রশংসা পান বাঁধন। তার লুক, মুভ- সবই পছন্দ করেন দর্শকরা। এবার এলো ছবির অফিশিয়াল পোস্টার!
সাদামাটা এই পোস্টারেও চৌকস বাঁধনকেই ফোকাস করা হয়! চোখ, ঠোঁটে ক্রুধ- হাতে রিভলবার রয়েছে বাঁধনের। পুলিশ অফিসার হিসেবে অপরাধীর প্রতি তার মনোভাবকেই তুলে ধরা হয়েছে এই পোস্টারে। পোস্টারটি শেয়ার করে ফেসবুকের ক্যাপশনে বাঁধন লিখেছেন, ‘খুন সহ ধর্ষণের শাস্তি কী হওয়া উচিত?’
ইতিপূর্বে টিজারে ‘এশা মার্ডার’ এর কিছুটা খোলাসাও করেছিলেন নির্মাতা। সেই টিজারে দেখা যায় যে, অর্চনা গোপ, জেসমিন টিউলিপ ও এশা জান্নাত নামে তিনজন মেয়ে একই জেলায় খুনসহ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। যার তদন্তের দায়িত্ব ন্যাস্ত হয় পুলিশ অফিসার বাঁধনের উপর! বাঁধন চৌকস পুলিশ অফিসারের সমস্ত কিছুই দুর্দান্তভাবে যে অনুসরণ করেছেন, তার আভাস ‘এশা মার্ডার’ এর টিজারেই পাওয়া যায়! পোস্টারেও ঘটেনি এর ব্যতিক্রম।
ঈদুল ফিতরে সিনেমাটি মুক্তির কথা শোনা গেলেও টিজার প্রকাশ করে সেই সময় জানানো হয়, ঈদুল ফিতরে নয়, ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ আসতে যাচ্ছে ঈদুল আযহায়! যদিও পোস্টার প্রকাশ করলেও ছবিটির মুক্তি নিয়ে কিছুই বলেননি বাঁধন বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন পূজা ক্রুজ, মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমিত সেনগুপ্ত, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ, মাজনুন মিজান, এজাজ আহমেদ, আনিসুল হক বরুণ, সুষমা সরকার ও দীপু ঈমাম।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org