দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একাধিক অ্যাপ ব্যবহারের কারণে বর্তমানে স্মার্টফোনের বরাদ্দকৃত স্টোরেজ দ্রুতই পূর্ণ হয়ে যায়। এর প্রভাবে পুরো ফোনই স্লো কাজ করে, অনেক সময়ই হ্যাংও হয়ে যায়। এছাড়াও অনেক বেশি ফটো কিংবা ভিডিও আপলোডের ফলেও এমনটি হয়ে থাকে।
এমন অবস্থায় স্টোরেজ খালি করতে প্রথমে প্লে স্টোরে ‘মাই অ্যাপস’-এর ইউজড ট্যাবে ক্লিক করে আমরা সবচেয়ে কম ব্যবহার করছি এমন অ্যাপগুলোকে আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে। অকেজো অ্যাপগুলো আনইন্সটল করতে হবে। তারজন্য সেটিংসে গিয়ে অ্যাপস কিংবা স্টোরেজ-এ ক্লিক করতে হবে।
এরপর অ্যাপের তালিকা তৈরি করতে হবে ও স্টোরেজও ব্যবহার দেখতে হবে। কম ব্যবহৃত অ্যাপের ডেটা ও ক্যাশে সাফ করতে হবে। ফটো এবং ভিডিওগুলোর ব্যাক আপ নিয়ে তারপর ডিলিট করতে হবে।
তাছাড়াও গুগল ফটো কিংবা ড্রপবক্সের মতো ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস ব্যবহার করে ফটো এবং ভিডিওর ব্যাকআপও নিতে হবে। ব্যাকআপ নেওয়ার পর, ফোন হতে ফটো এবং ভিডিও ডিলিট করতে হবে। গুগল ফাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বড় ফাইলগুলোও ডিলিট করতে পারেন।
গান এবং অন্যান্য মিডিয়াগুলোও ডিলিট করতে হবে। স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলো ব্যবহার করে, যেমন স্পটিফাই কিংবা গানা’র মাধ্যমে গানও শোনা যেতে পারে। এছাড়াও আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপ মিডিয়া পরিচালনা করতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপে সেটিংস গিয়ে এরপর স্টোরেজে ক্লিক করতে হবে। বড় ফাইলগুলো খুঁজে ডিলিট করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় চ্যাট মিডিয়া এবং গ্রুপ মিডিয়া ডিলিট করতে হবে। তারপর ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হবে।
আপনার ফোনটি নিয়মিতভাবে আপডেট করতে হবে। ক্লাউড স্টোরেজ পরিষেবা ব্যবহার করে ফাইল সেভ করে রাখতে পারেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org