কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য শিশু কিছুই খেতে চাইছে না? ওষুধ ছাড়া কীভাবে হবে সমাধান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার জন্য শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কেবল দাওয়াইয়ের ভরসায় থাকলে চলবে না। তাহলে কী করলে এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য শিশু কিছুই খেতে চাইছে না? ওষুধ ছাড়া কীভাবে হবে সমাধান 1কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য শিশু কিছুই খেতে চাইছে না? ওষুধ ছাড়া কীভাবে হবে সমাধান 1

তাহলে কী ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবে শিশুরা?

অনেক সময়ই মায়েরা অভিযোগ করেন, তাদের শিশুরা নাকি কিছুই খেতে চায় না। ভাল-মন্দ খাবার বানিয়ে দিলেও কিছুই মুখে তুলতে চায় না শিশু। এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে অনেক সময় মুখে অরুচি চলে আসে তাদের মধ্যে। সপ্তাহে ৩ বারের কম মলত্যাগ করলে, তাদের পেট ব্যথা হলেই বুঝতে হবে শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার জন্য শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র দাওয়াইয়ের উপর ভরসা না করে কী করলে এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে সেটি ভাবা উচিত।

Related Post

# শিশুকে বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। শরীরে পানির ঘাটতি হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বাড়ে। তাই শিশুর পানি খাওয়ার বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে সুন্দর দেখতে একটি বোতল কিনে দিন, যাতে ওই বোতলে পানি খাওয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়।

# শিশুকে ফাইবারে সমৃদ্ধ শাকসব্জি এবং ফলমুল বেশি করে খাওয়াতে হবে। কলা, স্ট্রবেরি, দই, চিয়াবীজ মিক্সিতে ঘুরিয়ে শিশুকে খাওয়াতে হবে, এতে উপকার পাবেন। এইসব খাবার না খেতে চাইলে সব মিলিয়ে সুস্বাদু পুডিং বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।

# শিশু রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১/২ চা চামচ ঘি’র সঙ্গে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়ান, এতে বেশ উপকার পাবেন।

# রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে পেটের উপর ডান দিক থেকে বাঁ দিক, এই অভিমুখে হিং মাখালেও শিশু গ্যাস সমস্যা হতে রেহাই পেতে পারে।

# শিশুকে ঠিক করে খাবার চিবিয়ে না খাওয়ালেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই এই সময় সেদ্ধ করা খাবার চটকে খাওয়ানো যেতে পারে।

# চিপ্‌স, ভাজাভুজি এবং মিষ্টির পরিমাণ কমিয়ে বাড়িতে তৈরি হালকা টাটকা খাবার খাওয়ালে বেশি উপকার পাবেন।

# গরমের এই সময় শিশুদের বেশির ভাগ সময় বাড়িতেই কাটে। চেষ্টা করুন শিশুকে বাইরে খেলতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মুঠোফোন নির্ভর না হয়ে বাইরে গিয়ে খেলাধূলার অভ্যাস করাতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on মে ২৬, ২০২৪ 4:29 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

দুধ, ফল, সব্জি খেয়েও ক্যালশিয়ামের ঘাটতি যাচ্ছে না কিন্তু কেনো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেরই দুধ, ফল, সব্জি সবই থাকে খাবারের তালিকায়। তবুও ক্যালশিয়ামের…

% দিন আগে

অনার বাংলাদেশ নিয়ে আসছে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দেওয়া ‘এক্স৯সি’ স্মার্টফোন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে বাংলাদেশের বাজারে বৈশ্বিকভাবে সাড়া ফেলে দেওয়া স্মার্টফোন, অনার এক্স৯সি,…

% দিন আগে

ভয়ংকর লুকে অচেনা রূপে নুসরাত ফারিয়া!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ মানেই বিনোদন। আর এই বিনোদনের প্রধান মাধ্যম হলো সিনেমা।…

% দিন আগে

কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ শপথ নিচ্ছেন কার্নি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ (শুক্রবার) মন্ত্রীসভার সদস্যদের নিয়ে শপথ…

% দিন আগে

গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে অনাহূত অতিথি! খাবার চুরি করে পালালো এক বাঁদর! [ভিডিও]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিয়ের আগে গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে হবু পাত্র-পাত্রীকে ঘিরে ভিড় জমিয়েছেন নিমন্ত্রিত…

% দিন আগে

জামালপুরের ঐতিহাসিক মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১…

% দিন আগে