দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে ব্যবহার করে একটি ইসরায়েলি সংস্থা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েছে- এমন দাবি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘চ্যাট জিপিটি’র নির্মাতা সংস্থা ‘ওপেনএআই’।
ইসরায়েলের এই সংস্থাটির নাম হলো ‘এসটিওআইসি’ বলে ওপেনএআই জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েল থেকে পরিচালিত গোপন অ্যাকাউন্টগুলো হতে প্রচারের জন্য নানা কনটেন্ট তৈরির পাশাপাশি সেগুলো সম্পাদনাও করা হয়। তারপর তা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ওয়েবসাইট ও ইউটিউবে শেয়ার করা হয়। খবর দ্যা হিন্দু’র।
মে মাসের প্রথম দিকে ইংরেজি কনটেন্ট দিয়ে ভারতীদের টার্গেট করা শুরু হলেও পরে কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দখলদার ইসরায়েলের লোকজনকে নিশানা করে ইংরেজি এবং হিব্রুতে বিষয়বস্তুর প্রচার শুরু করে এসটিওআইসি।
ওপেনএআই এর গবেষণায় দেখা যায়, ইসরায়েলভিত্তিক কোম্পানি ‘এসটিওআইসি’ ভারতীয় দলগুলোর মধ্যে বিশেষকরে বিজেপি’র সঙ্গে অন্য দলের দূরত্বকে চিহ্নিত করে এর ভিত্তিতেই নানা কন্টেন্ট তৈরি এবং সেগুলো শেয়ার করেছে। তারা ভারতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক বক্তব্যগুলো ঠেকানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশটির নানা ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ বিরোধ উসকে দিতে জনমতকে লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও এই ইসরায়েলি সংস্থা গোপন তৎপরতার অংশ হিসেবে ইসরায়েলিনীতি বিরোধী জনমতকে প্রভাবিত করে পরিস্থিতিকে দখলদার ইসরায়েলের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টাও করেছে ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজনৈতিক মতকে প্রভাবিত করার চেষ্টাও করেছে।
ওপেনএআই আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি সংস্থা ভারতীয় জনগণের আত্মপরিচিতি ও প্রত্যাশাকে বিকৃত করার জন্য প্রতারণার আশ্রয়ও নিয়েছে। যেসব কৌশলে এগুলো করা হয়েছে তারমধ্যে একটি হলো ভারতের কিছু নাগরিকের কিছু মতামতের প্রশংসা করে তাদেরকে উত্সাহিতও করা হয়েছে। অপরদিকে অন্য পক্ষকে আক্রমণ করা হয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিতেও এই ইসরাইলি সংস্থা নানা উসকানিমূলক তৎপরতা চালিয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তবে ‘ওপেনএআই’ এই বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বা কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
ওপেন এআইয়ের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এটিকে গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক হুমকি বলেও অভিহিত করেছে। এই বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তি মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, ‘এটি খুবই স্পষ্ট যে কিছু ভারতীয় রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের পক্ষ হতে পরিচালিত ভুল তথ্য ও বিদেশি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিজেপিকে নিশানা করা হচ্ছে। যা দেশের গণতন্ত্রের জন্যও অত্যন্ত বিপজ্জনক।
তিনি আরও বলেছেন, ভারত এবং ভারতের বাইরের স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থে এই ধরনের এজেন্ডা চালানো হচ্ছে। তিনি এই ষড়যন্ত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করেন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুন ২, ২০২৪ 11:06 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন সজনে শাককে। এতেই ডায়াবেটিসকে বশে রাখতে পারবেন।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বেগ উল্লেখ করে শিশুদের সামাজিক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মনির খানের কণ্ঠে ‘বন্যা’ নিয়ে গান ইউটিউবে। এই গান লিখেছেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আলোচনা-সমালোচনার পর ভারতে রপ্তানি করা হয় বাংলাদেশের ইলিশ। শুক্রবার (২৭…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্ল্যাটফর্মে এঁকেবেঁকে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৬ ফুট লম্বা সাপ! যা দেখে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১…