দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। প্রতিনিয়ত অনেকেই কোনো না কোনো কিছু গুগলে সার্চ দেন। ব্যবহার করছেন গুগলের ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোমও। গুগলের পক্ষ হতে ব্যবহারকারীকে ফ্রি ১৫ জিবি স্টোরেজ সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সেই স্টোরেজ ফুল হয়ে যাচ্ছে।
৩টি জি-মেইল অ্যাকাউন্ট থাকলে ৪৫ জিবি স্টোরেজ ফ্রি পাওয়া যাবে। বাড়তি স্টোরেজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এটিও একটি উপায় হতে পারে। তবে গুচ্ছের মেইল, অপ্রয়োজনীয় ফাইল এবং অ্যাটাচমেন্ট, ছবি, ভিডিও সব মিলিয়ে স্টোরেজ ভরে যায় গুগল ড্রাইভে। তবে চাইলেই আপনি জি-মেইলে ১০ এমবির বড় ফাইলগুলো একসঙ্গে ডিলিটও করতে পারবেন।
জি-মেইলে একসঙ্গে ১০ এমবির বেশি ফাইল ডিলিট করবেন যেভাবে :গুগল জি-মেইল ওপেন করুন। এবার সার্চ বারে টাইপ করুন—has:attachment larger:10MB। এরপর যে ই-মেইলটিতে ১০ এমবির বেশি অ্যাটাচমেন্ট থাকবে সেগুলো তখন চলে আসবে। এরপর প্রয়োজনীয় ফাইল রেখেই বাকিগুলো রিডিলিট করে দিতে পারেন।
অপরদিকে ড্রাইভে বড় ফাইলগুলো ডিলিট করতে চাইলে যা করবেন
প্রথমেই গুগল ড্রাইভে লগ ইন করুন। এরপর ওপরে থ্রি লাইন ডটে ক্লিক করে তারপর স্টোরেজ অপশনে ক্লিক করুন। এখানে ‘ফ্রি আপ স্পেস’ নামে একটি অপশন থাকবে- সেখানে ট্যাপ করুন। তখন দেখতে পাবেন কোথায় কতো স্টোরেজ ব্যবহার হয়েছে। এরপর ‘স্টোরেজ ম্যানেজার’-এর অধীনে যেখান থেকে স্টোরেজ খালি করতে চাইছেন সেখানে ক্লিক করুন। তারপর একে একে সেগুলো ক্লিয়ার করলে অনেকটা জায়গা তখন বেঁচে যাবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org