দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩ দিন আগে নিখোঁজ এক নারীকে সাপের পেট হতে উদ্ধার করা হয়েছে! ইন্দোনেশিয়ায় বিশাল আকৃতির অজগর সাপের পেট থেকে ওই নারীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়!
স্থানীয় সময় শনিবার এই ঘটনাটি ঘটে। মৃত নারী ফরিদা (৪৫) ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের কালেম্পাং গ্রামের একজন বাসিন্দা।
গ্রামের প্রধান সুয়ার্দি রোসি গণমাধ্যমকে জানান, চার সন্তানের জননী ফরিদা গত বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর গ্রামের এক স্থানে ফরিদার পরিহিত জামা কাপড়ের কিছু অংশ পাওয়া যায়। এই ঘটনা সন্দেহজনক হয়ে উঠলে আশেপাশে তল্লাশি শুরু করা হয়। এর কিছু দূরেই একটি বিশাল পেটের অজগর সাপের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই সাপের পেট অনেক বড় আকারে ফুলে গিয়েছিল।
তারপর তারা সাপটির পেট কাটার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সাপটির পেট কাটার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফরিদার মাথা দেখা যায়। তারপর পোশাক পরিহিত অবস্থাতে ফরিদাকে সাপের পেটে পাওয়া যায়।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশাল আকারের সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ মিটার (১৬ ফুট)।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্দোনেশিয়ার এইসব অঞ্চলে সাপের আক্রমণ বহুগুণ বেড়েছে। এতে করে বেশ কয়েকজন মারাও গেছেন। গত বছর ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসির তিনাঙ্গিয়া জেলার এক কৃষককে ৮ মিটার দৈর্ঘ্যের অজগর সাপ শ্বাসরোধ করে খেয়ে ফেলে। তার আগেও ২০১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসির মুনা শহরে ৫৪ বছর বয়সী এক নারীকে অজগরের পেটে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org