দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন আয়োজন দেখে খাদ্যরসিকদের বক্তব্য- এ খাবারকে বিরিয়ানি ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। তবে নীল রঙের বিরিয়ানিকে শুধু বিরিয়ানি বলাও বোধ হয় ঠিক নয়।
যে কারও নীল রং ‘ভীষণ প্রিয়’ হতেই পারে। তাই বলে প্রিয় খাবারেও নীল রং ভালো লাগবে কী? প্রিয় রং কি সব ক্ষেত্রেই প্রিয় লাগে? ধরুন প্রিয় খাবার বিরিয়ানিও নীল রঙে সাজলো এবার। আপনার ভালো লাগবে? ইন্টারনেটে এখন এই নীল রঙের বিরিয়ানিই ভাইরাল হয়েছে।
ঘি-পেঁয়াজ-গরম মশলা-সবজি বাদাম সহযোগে এই বিরিয়ানি তৈরি হতে দেখেও ভিরমি খাচ্ছেন খাদ্যরসিকরা। অনেকেরই প্রশ্ন হলো- এই বিরিয়ানি আদৌ খাওয়া যায় তো? তবে কেও কেও আবার বিরিয়ানি দেখে মুগ্ধ হয়ে তার নাম রেখেছেন।
ভিডিওর বিবরণে যদিও চাল দিয়ে তৈরি এই খাবারকে বিরিয়ানি বলা হয়। সেখানে এর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে ‘অপরাজিতা ফুলের ঘি-ভাত’ হিসেবে। তবে বিষয়টি আদতেও শুধু অপরাজিতা ফুল ও সাদা মাটা ঘি-ভাতে আটকে থাকেনি। ঘিয়ের পাশাপাশি তাতে পড়েছে নানারকমের মশলা, পেঁয়াজ, এমনকি কাজু-কিশমিশও!
আয়োজন দেখে খাদ্যরসিকদের বক্তব্য হলো, এই খাবারকে বিরিয়ানি ছাড়া অন্য কিছুই বলা যায় না। তবে নীল রঙের বিরিয়ানিকে শুধু বিরিয়ানি বলাও কী ঠিক?
সম্প্রতি গোলাপি রঙের বার্বি বিরিয়ানি ও চিজ়ের জাল দেওয়া আকাশি রঙের স্পাইডার ম্যান বিরিয়ানি বানিয়ে চমকে দিয়েছিলেন এক মুম্বাইয়ের এক কেক রাঁধুনি। সে কথা মনে করে নেটাগরিকরা এই গাঢ় নীল বিরিয়ানির নাম দিয়েছেন হলিউড পরিচালক জেমস ক্যামেরনের অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র ‘অবতার’-এর নামে। অর্থাৎ অবতার বিরিয়ানি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org