দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিন দিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে নকল কণ্ঠ, ছবি এবং ভিডিও তৈরি করে প্রতারণার ঘটনা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এবার নকল কণ্ঠস্বর শনাক্তে ট্রুকলারে এলো এআই সুবিধা।
এসবের মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে। তাই এই সমস্যা সমাধানে বিশ্বের প্রথম ‘এআই কল স্ক্যানার’ ফিচার নিয়ে আসতে যাচ্ছে ট্রুকলার। অপরিচিত নম্বরের তথ্য খোঁজার জনপ্রিয় অ্যাপ হলো এই ট্রুকলার।
এই বিষয়ে ট্রুকলার জানিয়েছে, তাদের নতুন এআই কল স্ক্যানার ফিচারটি ফোন আসার পর প্রথমে কলারের ভয়েস কয়েক সেকেন্ডের জন্য রেকর্ড করবে। তারপর ইনহাউস এআই মডেল ব্যবহার করে কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ করবে এটি। এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কলারের ভয়েস প্রকৃতপক্ষে একজন মানুষের নাকি এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে নকল করা হয়েছে সেটি জানিয়ে দেবে।
এই ফিচারটি ট্রুকলার অ্যাপের ১৪.৬ ভার্সনে চালু রয়েছে। তবে ট্রুকলারের প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র এই বৈশিষ্ট্যটি অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এই মুহূর্তে ফিচারটি আমেরিকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে দ্রুতই পর্যায়ক্রমে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও চালু করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
জেনে নিন কীভাবে এআই কল স্ক্যানার ব্যবহার করবেন:
# প্রথমেই আপনাতে ট্রুকলারকে ফোনের ডিফল্ট কলিং অ্যাপ হিসেবে সেট করতে হবে।
# তারপর কোনো সন্দেহজনক কলার আইডি হতে ফোন এলে তখন স্টার্ট এআই ডিটেকশন বিকল্পে ক্লিক করতে হবে।
# ভয়েস রেকর্ড করার সময় ওই কলটি কিছু সময়ের জন্য হোল্ডে চলে যাবে। এই সময় স্ক্রিনে ‘এনালাইজিং’ লেখা একটি টেক্সও আসবে।
# এখন আপনাকে ফলাফল পেতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
# সবশেষে প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর প্রাপ্ত ফোনের কলার মানুষ নাকি এআই জেনারেটেড ভয়েস তার ফলাফল স্ক্রিনে দেখিয়ে দেবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org