দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার শিশুদের জন্য বিশেষ ফিচার যুক্ত স্মার্টওয়াচ আনতে যাচ্ছে গুগল। ৭ বছর কিংবা তার বেশি বয়সীদের জন্য এই স্মার্টওয়াচটি আনা হচ্ছে।
এই বিষয়ে কোম্পানি জানিয়েছে, বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে এই স্মার্টওয়াচ ডিজাইন করা হয়। তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এতে লোকেশন ট্র্যাকিং ফিচার যোগ করা হয়। রিয়েল টাইম লোকেশন আপডেট পাওয়া যাবে এই স্মার্টওয়াচে।
মজবুত বডি ও ওলিড ডিসপ্লে রয়েছে এই স্মার্টওয়াচে। এতে স্মার্টফোনের মতো কর্নিং গোরিলা গ্লাসের সুরক্ষা পাওয়া যাবে। স্টেনলেস স্টিল ও পুনর্ব্যবহার প্লাস্টিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে এই ঘড়ি। স্মার্টওয়াচের ওজন মাত্র ২৮.০৩ গ্রাম। কোম্পানিটি দাবি করেছে, এটি মূলত একটি ইকো-ফ্রেন্ডলি স্মার্টওয়াচ।
এই স্মার্টওয়াচে ২ জিবি ব়্যাম এবং ৩২ জিবি স্টোরেজ, মাল্টি-টাস্কিংয়ের জন্য পাবেন কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ডব্লিউ৫ প্রসেসরও। যদিও গুগল প্লে-স্টোরের কোনো সাপোর্ট পাওয়া যাবে না, এই ঘড়িতে ৩২৮এমএএইচ ব্যাটারি ক্যাপাসিটি রয়েছে, সঙ্গে পাওয়া যাবে ফাস্ট চার্জিং সুবিধা।
গুগলের দাবি অনুযায়ী জানা যায়, ৩০ মিনিটে ৬০ শতাংশ চার্জ ও ৭০ মিনিটে ১০০ শতাংশ চার্জ হতে পারে হতে পারে এই স্মার্টওয়াচটি। কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে পাবেন এলটিই কানেক্টিভিটি, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ৫.০, এনএফসি ও জিপিএস। শুধু তা-ই নয়, এই ঘড়িটি ওয়াটার রেসিসট্যান্টও। ৫০ মিটার পর্যন্ত পানিতেও কিছু হবে না এই ঘড়ির, দাবি করেছে গুগল।
অভিভাবকরা ফিটবিট অ্যাপের মাধ্যমে এই স্মার্টওয়াচটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তবে প্রাইভেসির কথা মাথায় রেখে ২৪ ঘণ্টার লোকেশন ডেটা স্টোর থাকবে স্মার্টওয়াচে। এই ঘড়ি দিয়ে ফোন ও মেসেজ দুটিই করতে পারবেন। ২০টি কন্টাক্ট নম্বর সেভ করে রাখা যাবে স্মার্টওয়াচে।
ফিচার্সের শুধু এখানেই শেষ নয়, বাচ্চারা স্মার্টওয়াচটি পরে যাতে মজা পেয়ে থাকে, সেজন্য এতে থ্রিডি গেমস ফিচার রয়েছে। এই ঘড়িটি প্রায় সব ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিই ট্র্যাক করতে পারবে। সেইসঙ্গে ফিটনেসের জন্য এখানে গোলও সেট করা যাবে।
গুগল ফিটবিটের এই স্মার্টওয়াচটির কলিং, মেসেজ ও লোকেশন শেয়ারিং ফিচার অ্যাক্সেস করার জন্য অবশ্যই ফিটবিট এইস পাস সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে। এই ফিট পাসের মাসিক সাবস্ক্রিপশন ১০ ডলার ও বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন ১২০ ডলার। এই স্মার্টওয়াচের দাম ধরা হয়েছে ২২৩ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়াচ্ছে ২৬ হাজার ৯৬০ টাকা। এটি গুগল স্টোর ও অ্যামাজন থেকেও অর্ডার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুন ১২, ২০২৪ 4:51 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…