দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুটারটি চালাচ্ছেন বাবা। আর পিছনের আসনে বসে রয়েছেন মা। তবে সেখানে শিশুটির বসার জায়গা হয়নি। তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্কুটারের পাশের পা রাখার জায়গায়! সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
স্কুটারটি চালাচ্ছেন বাবা। আর পিছনের আসনে বসে রয়েছেন মা। তবে সেখানে শিশুটির বসার জায়গা হয়নি। তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্কুটারের পাশের পা রাখার জায়গায়! কোনও রকমে সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে শিশু। আর স্কুটার ছুটছে নিজস্ব গতিতেই। সম্প্রতি ভারতের বেঙ্গালুরুর রাস্তায় এমন একটি দৃশ্য দেখা গেছে। যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে।
ভাইরাল এক্সের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্কুটারের পিছনের আসনে জিন্স-টপ পরে বসে রয়েছেন মহিলা। এক হাত দিয়ে তিনি তার স্বামীকে ধরে রেখেছেন। অপর হাতে ধরে আছেন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুটিকে। শিশুটিও তার মাকে ধরে কোনও রকমে দাঁড়িয়ে রয়েছে। স্কুটারের পাশে এক ধারে পা রাখার জন্য ছোট্ট একটি জায়গা থাকে। সেখানেই দাঁড় করানো হয়েছে শিশুটিকে!
পিছন থেকে ওই স্কুটারের ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন কেও একজন। সেটি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নেটিজেনরা যা দেখে রীতিমতো সমালোচনায় সরব হয়েছেন। ওই দম্পতির মানসিকতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার নিন্দা করেছেন প্রায় সবাই। তাদের বক্তব্য হলো, শিশুটির জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেনো ব্যস্ত রাস্তায় স্কুটার চালাচ্ছেন যুবক। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অনেকেই আবার ওই দম্পতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। স্কুটারের নম্বরও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নেটমাধ্যমে। যদিও ভাইরাল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
এক্স এর ওই ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org