দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা দিতেই প্রচারের আলো ছিনিয়ে নেন যিনি তিনি আর কেও নন তিনি হলেন সাইফ আলি খানের কন্যা সারা আলি খান। প্রথম চলচ্চিত্র কেদারনাথ থেকে তার জনপ্রিয়তার শুরু।
একেবারে তাক লাগানো অভিনয়, নজরকাড়া হাসি ও মিষ্টি ব্যবহারে রাতারাতি হয়ে ওঠেন টক অব দ্য টাউন। এছাড়াও অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে তার রসায়ন নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন।
২০১৮ সালের আগে সারা আলি খানের পরিচয় ছিল সাইফ আলি খান ও অমৃতা সিংহের মেয়ে হিসাবেই। তবে ২০১৮ থেকে তিনি নিজের পরিচয়েই পরিচিত হয়ে ওঠেন। তবে সারার প্রথম ছবির নির্মাতা তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মামলা করেন সিনেমাটি মুক্তির পূর্বেই।
এর কারণ হলো কেদারনাথের শুটিং চলাকালীন সময়েই রোহিত শেট্টির সিনেমা সিম্বার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন অভিনেত্রী সারা আলী। অপরদিকে, প্রায় ২ বছর ধরে চলেছিলো কেদারনাথের শুটিং। একাধিক বার পিছিয়ে যায় ছবিটি মুক্তির তারিখ, এতেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটে সারা’র। সিম্বা ছবির শুটিং শুরু করতেই কেদারনাথ ছবির পরিচালক অভিষেক কাপুর এবং প্রযোজক অভিনেত্রীর নামে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেন। জীবনের প্রথম ছবিতে এতো বড় ধাক্কায় খানিকটা মুষড়ে যান সারাহ। অভিনেত্রী নিজেই জানান যে, সেই সময় তার মাথা নাকি কাজ করছিল না।
তার ভাষায়, ‘সময়টা খুবই কঠিন ছিল। কারণ হলো, মা তখন দিল্লিতে- আমার দাদু মৃত্যুশয্যায়। ইব্রাহিম ছোট, স্কুলে পড়তো। তখন আমার হাতে আইনি কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়। আমি ভাবছি, এটা নিয়ে আমি কী করবো? তখন কিছুই মাথায় আসছিল না।’
যদিও শেষ পর্যন্ত কেদারনাথ এবং সিম্বা ছবির পরিচালক নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটার কারণে কোর্টের বাইরেই হয় ওই সমস্যার সমাধান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org