দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ৩০ জুন ২০২৪ ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান বশির আহমেদ।
এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে ২০২৩ সমাপ্ত অর্থ বছরের জন্য (৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৫% স্টক লভ্যাংশ ও ৫% ক্যাশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
ইউসিবির ভাইস-চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, ব্যাংকের অগ্রগতির অন্যতম পরিচায়ক হলো মূলধনের দৃঢ় ভিত্তি। ২০২৩ সালে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ছিল ১৪,৭৬৫ মিলিয়ন টাকা। আমরা অত্যন্ত সুচারুভাবে ব্যাংকিং মূলধন প্রবৃদ্ধি ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। এ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি আজ দেশে এবং বিদেশে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ইউসিবি ধারাবাহিকভাবে শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক, সর্বোপরি সামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাবে।
এজিএমে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবির স্বতন্ত্র পরিচালক এবং অটিড কমিটির চেয়ারম্যান তৌহিদ শিপার রফিকুজ্জামান, পরিচালক ও ইউসিবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক বজল আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান আসিফুজ্জামান চৌধুরী, পরিচালক নাসিম কামাল, পরিচালক মাসুমা পারভীন, পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান, পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, পরিচালক মো: আকছেদ আলী সরকার, স্বতন্ত্র পরিচালক কনক কান্তি সেন, স্বতন্ত্র পরিচালক ও সাবেক সচিব ড. অপরূপ চৌধুরী, স্বতন্ত্র পরিচালক ও সাবেক সচিব মো: আবদুল হান্নান, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, শরিয়াহ সুপারভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান ও ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: আবদুর রশিদ প্রমুখ।
এ ছাড়াও ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আরিফ কাদরী এবং প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ এফসিএ এজিএমে উপস্থিত ছিলেন।
ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আরিফ কাদরী বলেন, ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ইউসিবি সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে একটি সমন্বিত ব্যবসায়িক মডেলের মাধ্যমে উন্নয়ন সাধনে সক্ষম হয়েছে।
এজিএম পরিচালনা করেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব এটিএম তাহমিদুজ্জামান এফসিএস।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org