দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন সি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। প্রতিদিনের ডায়েটে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সব্জি কিংবা ফল রাখারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। তাহলে এর ঘাটতি হলে কী করবেন? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটের মতোই শরীরের একটি জরুরি উপাদানই হলো ভিটামিন। সেই ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম ভাগ। যারমধ্যে ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই জরুরি ভিটামিন। পুষ্টিবিদদের মুখে প্রায়ই শুনবেন, তারা বলেছেন শরীর ভালো রাখতে হলে ভিটামিন সি রয়েছে এমন কিছু খাদ্য খেতে হবে।
ভিটামিন সি শরীর হতে দূষিত পদার্থ বের করতে যেমন সাহায্য করে থাকে, তেমনি ওজন কমাতেও এর জুড়ি নেই। শরীরে এই ভিটামিনের অভাবে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ও মাড়ির রোগও হতে পারে। ত্বকের নানা রোগও হতে পারে। বিভিন্ন সংক্রামক অসুখবিসুখও জাঁকিয়ে বসতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন সি শরীরের জন্য কেনো এতোটা জরুরি ও এর ঘাটতি হলে কী হতে পারে।
ভিটামিন সি কেনো এতো জরুরি
# শরীরের নানা ধরনের রোগকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায়।
# সংক্রামক অসুখবিসুখ হতে শরীরকে রক্ষা করে।
# ত্বক এবং চুল ভালো রাখে। কোলাজেন (এটি এক ধরনের প্রোটিন) তৈরি করতে পারে এই ভিটামিন সি। কোলাজেন প্রোটিনটি স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
# ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
# শরীরের পাশাপাশি মনের জন্যও ভালো এই ভিটামিন সি। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন সি রাখলে মানসিক চাপ, অবসাদ হতে রেহাই পাওয়া যায়।
কী কী খাবারে পাওয়া যাবে ভিটামিন সি
সাইট্রাস জাতীয় ফল অর্থাৎ লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এই ভিটামিন সি থাকে। মৌসুম বদলের সময় বেশি করে এই ধরনের ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। টম্যাটো, পেয়ারা, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, ব্রকোলি, সর্ষে শাক— ভিটামিন সি-এর ভালো একটি উৎস। পেঁপের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন সি। কাঁচা পেঁপে ও পাকা পেঁপে দুই-ই খেতে পারেন।
শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে কী ধরনের সমস্যা হয়
ভিটামিন সি-এর স্বল্পতার কারণে বেশির ভাগই ভোগেন মহিলারা। অনেকেই হয়তো জানেন ভিটামিন সি’র অভাবে মুখের ভিতরে ঘা, অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার মতো লক্ষণও প্রকাশ পায়। এছাড়াও আরও অনেক লক্ষণ রয়েছে। এই ভিটামিন অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। তাই এর ঘাটতি হলে ভাইরাস কিংবা ব্যাক্টেরিয়াঘটিত রোগ হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।
ভিটামিন সির অভাব প্রথম টের পাওয়া যায় ত্বকের স্বাস্থ্য হানির মাধ্যমে। ত্বকের একেবারে বাইরের স্তর কিংবা এপিডার্মিস ক্রমশ অনুজ্জ্বল এবং পাতলা হয়। এই স্তরের নীচে যে রক্তজালক থাকে, তার ক্ষয়ও শুরু হয়।
অপরদিকে দাঁতের গোড়ায় ক্যালসিয়াম জমতে শুরু করে। মাড়িও দুর্বল হয়ে যায়। মাড়ি হতে রক্ত বেরোতেও পারে। ভিটামিন সি’র স্বল্পতা আপনার হাড়কে দুর্বল এবং ভঙ্গুর করে দিতে পারে। একাধিকবার হাড় ভাঙতে পারে, বেড়ে যায় অস্টিয়োপোরোসিসের আশঙ্কা। শিশুদের ভিটামিন সি’র অভাব হলে তো সমস্যা আরও অনেক বেশি। সেইক্ষেত্রে শিশুর হাড়ের গঠন মজবুতই হবে না। যে কারণে পরবর্তী সময় বিভিন্ন রকম সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুলাই ২, ২০২৪ 12:03 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি বিষয় হলো সাপ্লিমেন্ট যখন খুশি তখন খাওয়া যায় না।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোন্ডার জনপ্রিয় মোটরসাইকেল সিবি ইউনিকর্ন সম্প্রতি নতুন রূপে আন্তর্জাতিক বাজারে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালেই মুক্তির কথা ছিল এম রাহিম পরিচালিত সিয়াম আহমেদ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশাল গোলাকৃতি একটি বেলুনের ভিতর লেহঙ্গা পরে রয়েছেন এক বিয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৭ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি দুধ কোন সময় খাচ্ছেন ও কতোটুকু খাচ্ছেন, তা জানা…