দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ের অনুষ্ঠানে বিশ্বের বড় বড় ব্যক্তিত্বদের ভারতে উড়িয়ে নিয়ে আনা হয়। বিল গেটস, জাকারবার্গ, রিয়ান্নাদের সরব অংশগ্রহণও ছিল। প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানে হলিউড থেকে গায়ক-গায়িকাদের নিয়ে আসা হয়।
ইতালি, গুজরাট, জামনগর হয়ে মুম্বাইতে বসেছে প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানের শেষ ধাপের আসর। এবারের আয়োজনে গান শোনাতে আসছেন বিশ্বখ্যাত কণ্ঠশিল্পী জাস্টিন বিবার। ইতিমধ্যে মুম্বাইয়ে চলে এসেছেন জাস্টিন বিবার।
অনেকের জানার ইচ্ছা যে, আম্বানীপুত্রের বিয়েতে গাইতে কতো টাকা নিচ্ছেন জাস্টিন বিবাব। এবার পাওয়া গেলো সেই উত্তর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ছেলের বিয়েতে এবার জাস্টিন বিবারকে গাওয়ানোর জন্য মুকেশ আম্বানিকে গুনতে হচ্ছে ১০ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ১১৭ কোটি টাকা!
ইতিপূর্বে ইতালিতে আয়োজিত প্রাক বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন শাকিরা। তিনিও মোটা অংকের অর্থ নেন। এই ধরনের আয়োজনে গাইতে ১০-১৫ কোটি রুপি নিলেও আম্বানিপুত্রের বিয়েতে তিনি নিয়েছিলেন ৭৫ কোটি রুপি।
এদিকে আগামী ১২ জুলাই সাতপাকে বাঁধা পড়বেন অনন্ত-রাধিকা। তার পূর্বে বুধবার হয়ে গেলো রাধিকার গুজরাটি বিয়ের অন্যতম অংশ। এই অনুষ্ঠানে কনের মামা ভাগ্নিকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। এই অনুষ্ঠানটিতেও অংশ নেন বলিউড তারকারা। দেখা গেছে জাহ্নবী কাপুর, শিখর পাহাড়িয়ার মতো বলিউডি তারকাদের।
এদিকে ছেলের বিয়ে উপলক্ষে একটি গণ বিয়ের আয়োজনও করেন আম্বানি দম্পতি। এতে ৫০টির বেশি বিয়ে সম্পন্ন হয়। এতে উপস্থিত হয়েছিলেন ৮০০ জন, এই অনুষ্ঠানে আম্বানী নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org