অফিসে কাজে মন না থাকলে যে আসনগুলোতে বাড়বে মনোযোগ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের জীবনে নানা সমস্যা থাকতে পারে। যেমন ব্যক্তিগত জীবনে জটিলতা, দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের দ্বন্দ্ব, কাজের চাপ, উদ্বেগের মতো কারণগুলো মনোযোগ তলানিতে চলে যাওয়ার জন্য কিন্তু যথেষ্ট। তবে মনোযোগ ফেরাতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি যোগাসনের উপর।

যদিও ইচ্ছাকৃত নয়, তবুও অফিসের কাজে ভুল হয়েই যাচ্ছে। ফলস্বরূপ দিনের শেষে কপালে জুটছে কেবল বসের বকুনি। অনেক সময় এমন হয় যে, জানা কাজও ভুল হয়ে যাচ্ছে। তাহলে কেনো এমন হচ্ছে, এর কারণ খুঁজতে গেলে কিন্তু তল পাওয়া যায় না।

এই বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, সঠিক মনোযোগের অভাবে এমনটি হতে পারে। মনোযোগ কম থাকলে, আত্মবিশ্বাস দিয়েও অনেক সময় ঠিকঠাক করে কাজ করা যায় না। মনোযোগ কমে যেতে পারে বিভিন্ন কারণেই। ব্যক্তিগত জীবনে জটিলতা, দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের দ্বন্দ্ব, কাজের চাপ, উদ্বেগের মতো কারণগুলো মনোযোগ তলানিতে চলে যাওয়ার জন্য কিন্তু যথেষ্ট। তবে মনোযোগ ফেরাতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি যোগাসনের উপর।

Related Post

তাড়াসন

প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব রাখুন, তারপর শ্বাস নিন। হাত দুটোকে উপরে তুলে কাঁধের সমান সমান নিয়ে যেতে হবে। এখন আঙুল দিয়ে হাত দুটোকে জড়ান। হাতের তালু রাখুন ঠিক বাইরের দিকে। এখন শ্বাস নিতে নিতে মাথার উপর হাত দুটো নিয়ে যেতে হবে। পায়ের গোড়ালিগুলো মাটি হতে উপরে তুলুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য রাখতে হবে। এই অবস্থায় ৩ হতে ১০ বার শ্বাস নিন। এখন গোড়ালি নীচে নিয়ে আসুন। শ্বাস ছেড়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।

হলাসন

প্রথমেই চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এখন কোমরে ভর দিয়ে পা দুটো ধীরে ধীরে উপরে তুলুন। পা যেনো ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। হাতের তালুতে চাপ দিয়ে পা দু’টিকে মাথার উপর দিয়ে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এখন পিঠটা ধীরে ধীরে মাটি থেকে এমন ভঙ্গিতে তুলুন যাতে করে পায়ের আঙুলগুলো মাটি স্পর্শ করে। এখন বুকের কাছে থুতনি নিয়ে আসুন। এই ভঙ্গিতে প্রায় কিছুক্ষণ থাকতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে।

বীরভদ্রাসন

প্রথমেই দুই পা দু’দিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ছড়িয়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’হাত কান বরাবর উপরের দিকে তুলে অনেকটা নমস্কারের ভঙ্গিতে দাঁড়ান। হাত যেনো একদম সোজা এবং মুখ আকাশের দিকে থাকে। তারপর এক দিকে ঘুরে সেই দিকের হাঁটু ধীরে ধীরে ভাঁজ করতে হবে। পিছনের পা এবং শরীর সোজা রেখে উপরের দিকে তাকাতে হবে। ২০ সেকেন্ডের মতো স্থির হয়ে থেকে বিশ্রাম নিতে হবে।

বৃক্ষাসন

প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনতে হবে। এরপর শরীরের ভারসাম্য রেখে নিজের ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা বাঁ পায়ের ঊরুর উপর নিয়ে আসতে হবে। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে সমানভাবে মাথার উপর নিয়ে যেতে হবে। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। ধীরে ধীরে এবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে। নিয়ম করে এই আসনটি করলে কাজে ভুল হবে না প্রায় নিশ্চিন্তে বলা যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জুলাই ৭, ২০২৪ 12:46 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

শরীর ভালো রাখতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দরকার

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমিষ ছুঁয়েও দেখেন না অনেকেই। তাহলে শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি…

% দিন আগে

বিনোদনের সেরা অভিজ্ঞতা পেতে চাই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন আধুনিক টিভি

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সর্বপ্রথম স্বয়ংক্রিয় কোনো বস্তুর ধারণা করেছিলেন প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকরা। আর…

% দিন আগে

কর্টিসল হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেই কী বিগড়ে যাবে জীবনের ছন্দ?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানব শরীরে কর্টিসলের ক্ষরণ বাড়লে নানাবিধ শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা…

% দিন আগে

ফারুকীর প্রশ্ন: শেখ হাসিনাকে আমরা কিভাবে দানব হয়ে উঠতে সাহায্য করলাম?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু…

% দিন আগে

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট যা জানালো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান…

% দিন আগে

গোসাপের পিছু ধাওয়া করে বিপত্তি: ঘরে ঢুকে পড়লো ১১ ফুট লম্বা গোখরো!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গোসাপের পিছু ধাওয়া করে ঘটে বিপত্তি। শেষমেষ ঘরে ঢুকে পড়লো…

% দিন আগে