দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০০৬ সালের ১৬ জুন বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় আর্জেন্টিনার কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ অভিষেকে দুর্দান্ত গোল করে দেশটির সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতায় পরিণত হন তিনি—অভিজাত লিভিং রুমের বিশাল সিআরটি টিভি থেকে শুরু করে, গলির চায়ের দোকানের রেডিওর সামনে বসা সকল ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে স্থায়ী হয়ে গিয়েছে মুহূর্তটি। ৪:৩ রেশিওর ঝিরঝিরে পর্দার ঝাপসা ছবিতেও এখনও অবিস্মরণীয় লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ অভিষেকের সেই দিনটি।
ইতিমধ্যে কেটে গেছে প্রায় দুই দশক। সেদিনের ‘লা পুলগা’-কে দেখে মোহিত হয়ে অনেকেই অ্যানফিল্ড, অ্যালিয়াঞ্জ, বার্নাব্যু এবং ক্যাম্প ন্যুর মতো বিখ্যাত স্টেডিয়ামে খেলার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। তার ধারাবাহিকতায় আমরা এখন দেখছি জুড বেলিংহাম ও লামিনে ইয়ামালের মতো তারকাদের ফুটবল জাদু। খেলার জমজমাট মরসুম শুরু হয়েছে। ইউরো ২০২৪ এবং ২০২৪ কোপা আমেরিকার উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। তাই নিজ বাসায় হোক কিংবা বন্ধুদের সাথে কোন রেস্তোরাঁয়, অথবা হোক কাজের ফাঁকে একটু করে স্কোর দেখা – ফুটবলে মজে আছি আমরা সবাই।
মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে না পারলেও, এখনকার জীবন্ত ছবির আধুনিক টেলিভিশনে খেলা দেখার অভিজ্ঞতাই অন্যরকম; কখনও কখনও মনে হয় যে লিভিং রুমে লাইভ চলছে ম্যাচটি, একটু হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে প্রিয় ফুটবলারকে। আমাদের ফুটবল দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও চমকপ্রদ করে তুলতে পারে প্রাণবন্ত স্ক্রিনের দুর্দান্ত টিভি!
এমন একটি টিভি, যেখানে বেলিংহাম কিংবা মুসিয়ালার গোল লাইভ দেখতে না পারার জন্য একদমই আফসোস হবে না। যেটার ডাইনিমক কন্ট্রাস্ট এতই দুর্দান্ত যে এক ঝলকেই হ্যারি কেইনের বুট চিনতে পারবে স্নিকারহেডরা। এবং, যেটার অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ডের সাথে অনায়াসেই গলা মিলিয়ে কোরাস গাইতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা!
বড় টেলিভিশন এখন প্রায় ঘরে ঘরেই দেখা যায়, কিন্তু প্রাণবন্ত ছবির উপভোগ্য ব্যাপারটা এখনও ততটা প্রচলিত নয়। দিনের শেষে আরাম করে বসে কোন এক সাসপেন্স থ্রিলার দেখার জন্য তা যথেষ্ট হলেও, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ ভক্তদের সাথে তাল মিলিয়ে, লাইভ প্রতিপক্ষের প্রতিটি পদক্ষেপে লক্ষ্য করতে দরকার এর চাইতেও বেশি কিছু। স্পষ্ট ছবি এবং স্মুথ ট্রানজিশন সহ টিভি দেখার সেরা অভিজ্ঞতা আমাদের খেলা দেখার চিরায়ত অভিজ্ঞতাকেই বদলে দিতে পারে। খেলোয়াড়দের অভিব্যক্তি থেকে শুরু করে মাঠের অবস্থা অত্যন্ত সূক্ষ্মতার সাথে যাচাই করতে চাই আমরা। আর এখন এ সবকিছুই সম্ভব স্যামসাংয়ের সিইউ৮০০০ টিভি মডেলে। টানা ১৮ বছর ধরে বিশ্বের এক নম্বর টিভি ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করে আসা স্যামসাং আমাদের খেলা দেখার উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে কয়েক গুণ।
এই ফোরকে ইউএউচডি স্মার্ট টিভির ডাইন্যামিক ক্রিস্টাল কালার টেকনোলজিতে রয়েছে এক বিলিয়ন কালার শেড; ফলে, স্ক্রিনের মধ্যে যাই চলুক না কেন, মনে হবে যেন বাস্তব! স্পোর্টস চ্যানেলগুলো এখন অনেক ভালো মানের আউটপুট দেয়। বাজারের বিভিন্ন সেট টপ বক্স দেয় উচ্চতর রেজল্যুশন। নিজেদের দুর্দান্ত কিছু প্রোডাকশন নিয়ে পিছিয়ে থাকছে না ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিও। তাই সেরা পিকচার কোয়ালিটি ছাড়া কি চলে? ১ বিলিয়ন কালার শেডের ফোরকে টিভিতেই পাওয়া যাবে দুর্দান্ত ইমেজ ডেলিভারি!
একইসঙ্গে, আভিজাত্য এবং স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ভিউয়িং অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে স্যামসাংয়ের সিইউ৮০০০ -এ ব্যবহার করা হয়েছে এয়ারস্লিম ডিজাইন এবং ফোরকে ক্রিস্টাল প্রসেসর। খেলার মৌসুমের এই উত্তেজনায় তাক লাগিয়ে দিতে এতে আরও আছে মোশন অ্যাকসেলেরেটর এবং হাই ডাইনামিক রেঞ্জ সহ উদ্ভাবনী অন্যান্য ফিচার। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org