দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীঘ্রই বাংলাদেশের রাস্তায় নামতে যাচ্ছে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি নিউ এনার্জি ভেহিকেল (এনইভি) বিওয়াইডি সিল। বৈশ্বিকভাবে তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিওয়াইডি। এর ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে বিওয়াইডির স্পোর্টস সেডান বিওয়াইডি সিল।
এনইভি এবং বৈদ্যুতিক ব্যাটারির ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি গত ২ মার্চ বাংলাদেশে এর ফ্ল্যাগশিপ মডেলের গাড়ি বিওয়াইডি সিল উন্মোচন করেছিলো।
দেশের গাড়িপ্রেমীরা তারপর থেকে আকর্ষণীয় এই সেডান গাড়িটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষাও করছেন। অবশেষে সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অগ্রিম বুকিং করা গাড়িগুলো প্রথম ব্যাচের ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। গাড়িটি বাংলাদেশের সড়কে খুব শীঘ্রই দেখা যাবে এমনটি আশা করা হচ্ছে।
এই গাড়ি সম্পর্কে সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক আমিদ সাকিফ খান বলেছেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত বিশ্ব নিশ্চিত করাই হলো বিওয়াইডি’র প্রতিশ্রুতি; যেখানে বর্তমানে আমাদের লক্ষ্যই হলো বিশ্বের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনা। এই ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্বাস, বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) বহুল ব্যবহার এই লক্ষ্যপূরণে খুব ভালোভাবেই কার্যকর হবে। বিওয়াইডি সিল নিয়ে আসার মাধ্যমে বাংলাদেশে এই ধরনের উদ্যোগ কেবলমাত্র যাত্রা শুরু করলো; সামনে আরও বহুদূর যাওয়ার বাকি।”
বিওয়াইডি সিলে রয়েছে অনবদ্য ডিজাইন, দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা (লং ড্রাইভিং), নিখুঁত পরিচালনা (স্মুথ হ্যান্ডলিং) ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ফিচারের এক সমন্বয়। এর এক্স-আকৃতির সামনের অংশ, স্ট্রিমলাইনড ডাবল ইউ-আকৃতির লাইট ক্লাস্টার ও প্যানোরামিক রুফসহ স্পোর্টি এবং অ্যারোডায়নামিক ওশান-ইন্সপায়ারড ডিজাইন বিওয়াইডি সিলকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
বিওয়াইডি এক্সটেন্ডেড রেঞ্জের দাম ধরা হয়েছে ৮৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও পারফরম্যান্স মডেলের গাড়িটি পাওয়া যাবে ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকাতে।
আগ্রহী ক্রেতারা বর্তমানে এই গাড়ির ফরমাশ (বুকিং) দিতে পারবেন; সেইসঙ্গে পরীক্ষামূলক চালানোর (টেস্ট ড্রাইভ) সুযোগ রয়েছে। টেস্ট ড্রাইভের দিনক্ষণ ঠিক করা যাবে এই ওয়েবসাইট থেকেই।
এক থেকে ৫ লাখ টাকায় বিওয়াইডি সিলের দুটি গাড়ির যে কোনোটার ফরমাশ (বুকিং) করা যাবে। যারা দামের ৫০ শতাংশ দিয়ে ফরমাশ দেবেন, তাদের জন্য নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধাও থাকবে। ৫০ শতাংশ অগ্রিম দিয়ে ফরমাশ করা প্রথম ৫ জন ক্রেতার নিবন্ধন ফিই দিতে হবে না। ক্রেতারা রাজধানীর তেজগাঁওয়ের দোকানে গাড়ির ফরমাশও দিতে পারবেন।
বিওয়াইডি সিলের জন্য ফরমাশ করলে ক্রেতারা উয়েফা ইউরো ২০২৪ প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগও পাবেন। এই প্রচারণার মাধ্যমে উয়েফা ইউরো ২০২৪–এর ম্যাচের টিকিট জিতে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
গাড়ির মালিকদের জন্য বাংলাদেশে ৩টি ইভি (ইলেকট্রিক্যাল ভেহিকল কিংবা বৈদ্যুতিক গাড়ি) চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এর সবই ঢাকায়। শীঘ্রই ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লায় আরও ১০টি চার্জিং স্টেশন বসানো হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৩০টি চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org