দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনের মধ্যে সেরার বিচারে বেশ তর্ক বিতর্ক রয়েছে। প্রযুক্তিবিদ থেকে আম জনতা সবাই বিভিন্নসময় তুলনা করেন থাকেন আইফোন এবং অ্যানড্রয়েডের সঙ্গে। উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই পৃথক কিছু সুবিধা থাকলেও ব্যতিক্রমী কিছু সুবিধা পাওয়া যায় কেবলমাত্র আইফোনে। কী সেইসব সুবিধা? আজ সেগুলো জেনে নিন।
অ্যাপল ইকোসিস্টেম
আইফোন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় অ্যাপল ইকোসিস্টেমের জন্যই। এই ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবহারকারী খুব সহজে তার আইফোনকে অন্যান্য অ্যাপল প্রডাক্টের সঙ্গে যুক্ত করে নিতে পারেন। ম্যাকবুক, অ্যাপল ওয়াচ, আইপ্যাড, অ্যাপল টিভিতে আইফোন যুক্ত করে অনেক কাজ খুব সহজেই করা যায়। এইসব যন্ত্রে আইফোন যুক্ত করে এয়ারড্রপ, হ্যান্ডঅফ, কন্টিনিউটি এবং ইউনিভার্সেল ক্লিপবোর্ডের মতো সুবিধাও পাওয়া যায়। যে কারণে খুব সহজেই যে কোন তথ্য বিনিময় করা সম্ভব। অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোন অন্যান্য যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করা গেলেও তাদের এই রকম পূর্ণাঙ্গ কোন ইকোসিস্টেমই নেই।
ফেসটাইম এবং আইমেসেজ
কেবলমাত্র অ্যাপলেই ফেসটাইম এবং আইমেসেজ ব্যবহার করা যায়। উন্নতমানের ভিডিও কলের জন্য ফেসটাইম ও বার্তা আদান-প্রদানের জন্য আইমেসেজ বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এই দু’টি অ্যাপে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন, অ্যানিমোজি, মিমোজিসহ রয়েছে অন্যান্য কিছু বাড়তি সুবিধাও।
নিয়মিত সফটওয়্যার হালনাগাদ
আইফোন নির্বাচনের অন্যতম আরেকটি কারণই হলো এর নিয়মিতভাবে সফটওয়্যারের আপডেট। নতুন আইফোন কিংবা আইপ্যাড বাজারে আসার পর অন্তত ৫-৬ বছর আইওএসের হালনাগাদ করা হয়। তবে অ্যান্ড্রয়েডে নিয়মিত হালনাগাদ পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে স্মার্টফোনের ব্র্যান্ডের ওপরে।
সিরি
আইফোনের ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিট্যান্ট হলো এই সিরি। সিরিতে কথা বলে ব্যবহারকারী অ্যাপ চালুসহ বিভিন্ন কাজ করতে পারেন খুব সহজেই। যে কারণে অনেক কাজ খুব সহজেই করা যায়।
তথ্যের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা
প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা মনে করেন যে, অ্যাপল ফোনে অ্যানন্ড্রয়েডের চেয়ে অনেকাংশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে উন্নত। অ্যাপলে বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে ম্যালওয়্যারের আক্রমণের ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে সমাধান পাওয়া যায়। অপরদিকে ব্যবহারকারীর তথ্যের নিরাপত্তায় অ্যাপল সবসময়ই সচেষ্ট থাকে। আবার অ্যান্ড্রয়েড মুক্ত সোর্স কোডভিত্তিক সফটওয়্যার হলেও অ্যাপলে আইওএস অপারেটিং সিস্টেম তাদের একেবারেই নিজস্ব। অ্যাপলের আইমেসেজ, ফেসটাইম ও আইক্লাউডে তথ্যের আদান-প্রদান তুলনামূলকভাবে অ্যান্ড্রয়েডের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ।
ফ্যামিলি শেয়ারিং এবং স্ক্রিন টাইম
ফ্যামিলি শেয়ারিং সুবিধা ব্যবহার করে পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে সাবস্ক্রিপশন ও ক্লাউড স্টোরেজ ভাগাভাগিও করা যায়। এছাড়াও স্ক্রিন টাইম ফিচারের মাধ্যমে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ফোন ব্যবহারের সময় নির্দিষ্টও করে দিতে পারেন।
আইক্লাউড এবং ফাইন্ড মাই ডিভাইস
যারা আইফোন ব্যবহার করেন তারা আইক্লাউডে প্রয়োজনীয় তথ্যের ব্যাকআপ রাখতে পারেন খুব সহজেই। এছাড়াও অ্যাপলের ফাইন্ড মাই অ্যাপ ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া অ্যাপল ডিভাইসের অবস্থানও চিহ্নিত করা যায় খুব সহজেই। ফোন অফলাইনে থাকলেও এই সুবিধাটি পাওয়া যায়। তথ্য সূত্র : ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ডটকম।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
Bengali 
English