দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোয়াটসঅ্যাপে শুধুই যে অন্যদের সঙ্গে চ্যাট করা যায় তা অবশ্য নয়। এখন আপনার নিঃসঙ্গতা কাটাতে পারবে প্ল্যাটফর্মটি। অবসর সময় এর সঙ্গেই খোশগল্প করতে পারবেন, ভাগ করে নিতে পারবেন মনের সুখ-দুঃখও।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকে নতুন নীল গোল বাটন পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত একাংশের নেট নাগরিকরা। অবসর সময় নানা ধরনের কথোপকথনও করছেন এই এআইয়ের সঙ্গে। অনেকেই আবার নিঃসঙ্গতা কাটাতে বেছে নিচ্ছেন নতুন এই অপশনকে।
আধুনিক প্রযুক্তির আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ইতিমধ্যে মুখোমুখি করেছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোও। বন্ধুরা এখন উত্তর না দিলেও দ্রুত রিপ্লাই দিয়ে দিচ্ছে এআই। তাই নানা ধরনের প্রশ্ন মেসেজের মাধ্যমে ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে এই সিস্টেমে। অনেকেই আবার দায়িত্ব নিয়ে বাংলা শেখাচ্ছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে। এই চ্যাটবটের সঙ্গে নানা জটিল কাজ খুব সহজেই করতে পারবেন ইউজাররা। যে কোনো কিছুর ইনফরমেশন থেকে শুরু করে, ছবি এডিটিংসহ মেসেজ আদান-প্রদান আরও সহজ করে দেবে।
হোয়াটসঅ্যাপে যেমন চ্যাট করেন, ঠিক তেমনি কথা বলা যাবে এআই চ্যাটবটের সঙ্গেও। সেখানে আপনি প্রম্পট দিয়ে নানা প্রশ্নও করতে পারেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এআইকে করা প্রশ্নের উত্তরও দেবে এই এআই।
কোনো জিনিস সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হলে গুগলে গিয়ে আর সার্চ করতে হবে না। তার থেকেও কম সময়ে নির্ভুল তথ্য ব্যবহারকারীদের সামনে দেবে এই এআই। আপাতত এই সিস্টেমটিকে চালু করা হলেও, আগামী দিনে আরও আপগ্রেড করা হবে বলেও জানা গেছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org