শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করার জন্য বানিয়ে ফেলুন গুড়ের ডিটক্স পানীয়!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি শরীরের ক্লান্তি দূর করার ক্ষেত্রে গুড়ের পানির সত্যিই কোনো তুলনা হয় না। এই পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে অনেকেই ভরসা রাখেন এই পানীয়ে।


চড়চড়ে রোদে বাইরে বের হলেই একেবারে ঘেমে স্নান হয়ে যান। আবার, রাতের দিকে বৃষ্টি হলে বেশ ঠান্ডাও লাগছে। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি মনোভাবে হাঁচি, সর্দি-কাশি লেগে রয়েছে। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, এই সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা দরকার। ভিতর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে গুড়ের পানি।

শরীরের ক্লান্তি দূর করতে গুড়ের পানির সত্যিই কোনো তুলনা হয় না। এই পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। গরমে সুস্থ থাকতে তাই অনেকেই ভরসা রাখেন এই পানীয়ে। পেটেরও যত্ন নেয় গুড়ের পানি। তবে গুড়ের পানি খালি পেটে খেলেই বেশি উপকার পাওয়া যায়। আরও ভালো হয়, যদি ঈষদুষ্ণ পানিতে গুড় মেশানো যায়।

সকালে খালি পেটে গুড়ের পানি খেলে কী হবে?

# প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট ও গ্লুকোজ়ের উৎস হলো এই গুড়। দিনের শুরুতেই এমন একটি পানীয় পেটে পড়লে সহজেই ক্লান্ত লাগে না। গরমে, ঘেমে কায়িক পরিশ্রম করলেও সারাদিনই এনার্জি বজায় থাকে।

# হজমশক্তি উন্নত করতে এই পানীয় বেশ কাজ করে। গুড়ের পানি হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলোর ক্ষরণও বাড়িয়ে তোলে। যে কারণে খাবার হজম হয় বেশ তাড়াতাড়ি। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও সাহায্য করে থাকে এই পানীয়।

# শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এই পানীয়। লিভারে জমা দূষিত পদার্থ নিষ্কাশনে ও রক্ত পরিস্রুত করতেও সাহায্য করে থাকে গুড় দিয়ে তৈরি এই পানীয়।

# ইনসুলিন ও কর্টিজ়ল হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এই গুড়ের পানি। রক্তে শর্করার আধিক্য বা মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই দু’টি হরমোনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org