দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কথা বললেই অনেকের মুখ থেকে থুতু ছিটকে বের হয়। কীভাবে এই সমস্যা দূর করা যাবে? এর থেকে অদূর ভবিষ্যতে জীবনের ঝুঁকিও থাকতে পারে।
অনেকের দেখা যায়, কথা বলতে গেলেই মুখ থেকে থুতু ছিটকে বের হয়। মনে করুন, অফিসের মিটিং চলছে। আপনি তাড়াহুড়ো করে কিছু বলতে গেছেন, অমনি থুতু ছিটকে সামনের ব্যক্তির গায়ে গিয়ে পড়লো। আপনিও অপ্রস্তুত, তখন তিনিও হয়তো মনে মনে রেগে আগুন। বিরক্তও হলেন ওই ব্যক্তি। বাকিরা হয়তো মুখ টিপে হাসাহাসি করলেন। এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অনেক সময়। এক আধদিন এমনটি হতেই পারে। তবে যখনই কথা বলছেন, তখনই যদি মুখ থেকে থুতু ছিটকে বের হতে থাকে, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কেবল অফিসেই নয়, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, যে কোনও অনুষ্ঠান কিংবা পার্টিতে গিয়ে যদি এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে পড়তে হয়, তখন যেনো বিড়ম্বনার শেষ থাকে না।
পক্ষাঘাতে মুখ বেঁকে যাওয়া, বড় কোনও অসুখ থেকে সেরে উঠলে বা মুখগহ্বরের জটিল রোগ হলে এমনটি হতেই পারে। তবে কোনও অসুখবিসুখ ছাড়াই যদি এই সমস্যা দেখা দিতেই থাকে, তাহলে বুঝতে হবে রোজকার যাপনে এমন কিছু ভুল হচ্ছে, যা এই সমস্যাটির কারণ। আমাদের মুখগহ্বরে তিন জোড়া লালা গ্রন্থি রয়েছে— ‘প্যারোটিড’, ‘সাবম্যান্ডিবুলার’ এবং ‘সাবলিঙ্গুয়াল’। এছাড়াও আরও অজস্র ছোট ছোট লালা গ্রন্থিও রয়েছে। কথা বলার সময়, খাবার খাওয়ার সময় এই লালা গ্রন্থিগুলো থেকে লালা রস নিঃসরণ হয়। লালা মুখের ভিতরকে পিচ্ছিল ও আর্দ্র রাখে, খাবার গিলতে সাহায্য করে। লালা নিঃসরণের নির্দিষ্ট হারও রয়েছে। তবে যদি বেশিমাত্রায় ক্ষরণও শুরু হয়, তখনই তা ছিটকে মুখ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে দেয়।
সেটি কেনো হয়? অনেক কারণও রয়েছে। অনেকের কথা বলার সময় জিভ জড়িয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে লালা ক্ষরণের হারও বেড়ে যায়। যারা বড় কোনো অসুখ থেকে উঠেছেন বা এমন কিছু ওষুধ খাচ্ছেন যা মুখের পেশীকে দুর্বল করে দিতে পারে, তার জন্যও অনেক সময় এমন হতে পারে।
খুব বেশি চিনি জাতীয় খাবার খেলেও অনেক সময় লালা নিঃসরণের হার বেড়ে যায়। তাই এমনসব খাবার এড়িয়ে চলুন, যাতে খুব বেশি চিনি দেওয়া রয়েছে। প্যাকেটজাত পানীয়তেও চিনির মাত্রা অনেকটা বেশি। তাই সেই সব খাওয়াও বন্ধ করতে হবে।
বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলেও অনেক সময় এমন হতে পারে। খুব বেশি ঝাল খেলে কিংবা প্রতিদিন বেশি মশলা দিয়ে রান্না খাবার খেলে লালা ক্ষরণের হার তখন বেড়ে যেতে পারে।
কীভাবে সমস্যা দূর করা যাবে?
# কথা বলার পূর্বে ঢোক গিলুন। কথা বলার সময় খেয়াল রাখুন, মুখে বেশি লালা জমে যাচ্ছে কি-না। তাহলে থুতু গিলেই কথা বলুন।
# বেশি তাড়াহুড়ো করে কথা বলতে যাবেন না। খুব ধীরেসুস্থে কথা বলুন। কারণ দ্রুত কথা বললে, লালা নিঃসরণের হারও বেড়ে যায়। মুখের পেশিগুলোও তখন অনিয়ন্ত্রিত থাকে। যে কারণে তখন থুতু ছিটকে বেরোবে।
# খুব বেশি চিনি কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার এবং ভাজাভুজি খাবেন না।
# থুতু বের হওয়ার সমস্যা থাকলে, বাড়িতে কাছের মানুষজনের সামনে কথা বলে অভ্যাস করুন যাতে করে লালা নিঃসরণ আটকাতে পারেন। দেখার চেষ্টা করুন কতোটা ধীরে কথা বললে এই সমস্যা হবে না। প্রয়োজনে পানি খেয়ে নিন। মুখের ভিতর লবঙ্গ রেখেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
# কখনও যদি দেখেন, এই সমস্যা দূরই হচ্ছে না, কথা বলার সময় মুখের পেশি কাঁপছে বা ঠোঁট বেঁকে যাচ্ছে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। অনেক সময় এটি পারকিনসন্স রোগের পূর্বলক্ষণও হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জুলাই ২৯, ২০২৪ 2:00 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…