দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফোন ও ল্যাপটপের স্ক্রিনে ধুলাবালি জমলে বা ময়লা হলে আমরা হরহামেশাই টিস্যু ব্যবহার করে পরিস্কার করি। কারণ হাতের কাছে টিস্যুই সাধারণত সবথেকে আগে পাওয়া যায়। কিন্তু ফোন এবং ল্যাপটপের স্ক্রিন মুছতে টিস্যু ব্যবহার করা কী ঠিক?
এই টিস্যু ব্যবহারে ফোন এবং ল্যাপটপের স্ক্রিন পরিষ্কার হওয়ার বদলে উল্টো ক্ষতিও হতে পারে। এর কারণ হলো টিস্যু ব্যবহারের কারণে স্ক্রিনে দাগও পড়তে পারে। সেজন্যই মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করতে হবে। সুতির শুকনো কাপড়ও ব্যবহার করা যায়। ফোন কিংবা ল্যাপটপের স্ক্রিন পরিষ্কারে আরও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখাটা জরুরি।
# ল্যাপটপ কিংবা ফোনের স্ক্রিন পরিষ্কার করার সময় ভেজা কিংবা নোংরা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। অবশ্যই শুকনো এবং পরিষ্কার কাপড় কিংবা মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।
# কাপড় দিয়ে স্ক্রিন পরিষ্কারের সময় অবশ্যই বৃত্তাকার গতিতে পর্দা মুছতে হবে। মোটেও জোরে চাপ দেওয়া যাবে না। এতে স্ক্রিনের ক্ষতিও হতে পারে।
# ল্যাপটপের পর্দা পরিষ্কার করার সময় চার্জার অবশ্যই খুলে রাখতে হবে। সম্ভব হলে ল্যাপটপ বন্ধ করে রাখাই ভালো।
# ল্যাপটপের পর্দার পাশাপাশি ময়লা কিংবা ধুলাবালি জমে কি-বোর্ডেও। কি-বোর্ড পরিষ্কারের জন্য তুলো কিংবা টুথব্রাশ ব্যবহার করা যেতেই পারে।
# স্ক্রিন প্রোটেক্টর, কি-বোর্ড প্রোটেক্টর ও মিনি ভ্যাকুয়াম ক্লিনারও ব্যবহার করতে পারেন।
# অ্যালকোহল ও অ্যামোনিয়া যুক্ত ক্লিনার এবং ক্লিনার স্প্রে ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org