দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের সভাপতির পদ হতে পদত্যাগ করলেন শমী কায়সার। ১৩ আগস্ট ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিষদ বরাবর নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে পদত্যাগপত্রটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরের অনুরোধও করেছেন।
ওইদিন সন্ধ্যায় ই-ক্যাবের ফিন্যান্সিয়াল সেক্রেটারি আসিফ আহনাফ শমী কায়সারের পদত্যাগের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
শমী কায়সার তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, আমি গত তিন মেয়াদে ই-ক্যাব -এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি বিশ্বাস করি যে, এই তিন মেয়াদে ই-ক্যাব একটি শক্তিশালী অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করে আমরা আজ এই অ্যাসোসিয়েশনকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশে ই-কমার্স ইকোসিস্টেম আজ এক শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়ে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে ও সেই চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আমি ই-ক্যাব এর নির্বাহী কমিটির কাছে প্রদানও করে যাচ্ছি। এই প্রক্রিয়ায় আমাকে সবসময় যারা সহযোগিতা করেছেন সেই সকল প্রিয় ই-ক্যাব সদস্যদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তবে বর্তমানে আমার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আমি ই-ক্যাব সভাপতি পদ হতে পদত্যাগ করছি ও তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগপত্রটি কার্যকর করার অনুরোধও করছি। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কার্য পরিচালনা চলমান রাখার জন্য আমার অবর্তমানে বর্তমান ইসি দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, সভাপতির অবর্তমানে কার্যনির্বাহী পরিষদের একজন সদস্যকে পরবর্তী সময় দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ফিন্যান্সিয়াল সেক্রেটারি আসিফ আহনাফ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org