দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় গায়ক বাপ্পা মজুমদার। ক্যারিয়ারে তিনি অসংখ্য গান উপহার দিয়েছেন। এবার শ্রোতা-দর্শকদের জন্য ভিন্ন ধাঁচের গান প্রকাশ করলেন তিনি। গানটির শিরোনাম হলো ‘এক কাপ চা।’
গানের কথা হলো- ‘লিখতে বসে আকাশ দেখি পর্দা উঠাই; জানলা খুলি/ বাতাস আসে ঘরের ভিতর/ একা থাকা, এক কাপ চা’— এমন কথায় সাজানো এই গানটি লিখেছেন শেখ রানা। গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন বাপ্পা মজুমদার নিজে। ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে শিল্পীর নিজস্ব প্রযোজনা ও প্রকাশনা সংস্থা বিএম ওয়ার্কস্টেশন থেকে।
সম্প্রতি বাপ্পা মজুমদারের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয় এই গানটি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রতিটি আয়োজনেই সময়ের একটা ছাপ রেখে দিতে চাই। সেই ভাবনা থেকে ‘এক কাপ চা’গানটি বানানো। তাই সুর ও সংগীতায়োজনে এই সময়কে চিহ্নিত করে রাখার চেষ্টাও ছিল।
এই সংগীতশিল্পী আরও বলেন, গায়কীতেও নিজস্বয়তা ধরে একটু পৃথক ভেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেছি। অপরদিকে গীতিকবি রানা তার লেখনীতেও উপমার মধ্যদিয়ে মনের গহিনের অনুভূতিকে তুলে এনেছেন, যা শ্রোতামনে নাড়া দেবে বলে আশা করছি।
জানা যায়, দলছুট ব্যান্ডের অ্যালবাম আয়োজনে অনেক দিন ধরেই ব্যস্ত সময় পার করছেন বাপ্পা মজুমদার। কথা দিয়েছিলেন যে, ব্যান্ড অ্যালবাম প্রকাশের পরই নিজের একক গানের আয়োজন তিনি শুরু করবেন।
কিছুদিন পূর্বে প্রকাশিত তার ব্যান্ড দলছুটের ষষ্ঠ অ্যালবাম ‘সঞ্চীব’ বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে শ্রোতা-দর্শক মহলে। তাই এবার শ্রোতাদের দেওয়া কথা রাখতেই প্রকাশ করলেন নিজের একক গান। তাছাড়াও নতুন গান প্রকাশের পাশাপাশি শীঘ্রই স্টেজ শোতে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বাপ্পা মজুমদার।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ১৫, ২০২৪ 12:13 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমিষ ছুঁয়েও দেখেন না অনেকেই। তাহলে শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সর্বপ্রথম স্বয়ংক্রিয় কোনো বস্তুর ধারণা করেছিলেন প্রাচীন গ্রীক দার্শনিকরা। আর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানব শরীরে কর্টিসলের ক্ষরণ বাড়লে নানাবিধ শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গোসাপের পিছু ধাওয়া করে ঘটে বিপত্তি। শেষমেষ ঘরে ঢুকে পড়লো…