দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি বাইরে থেকে যতো দামি প্রসাধনীই মাখুন না কেনো, ভিতর থেকে শরীরের কলকব্জার যত্ন না নিলে লাভ বিশেষ কিছুই হবে না। এরজন্য দরকার প্রাকৃতিক এবং ভেষজ উপাদান।
প্রকৃতির নিয়ম বয়সের চাকা গড়াবেই। কালের নিয়মে যৌবনেও মরচে ধরবে- সেটিই স্বাভাবিক। বুড়োর ছাপ পড়বে চেহারায়। একজন মহিলা এবং পুরুষের বয়স যখন চল্লিশ পার হবে, তখনই তার চেহারায় বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়। হালকা বলিরেখা উঁকি দিতে থাকে ত্বকের মধ্যে। তারুণ্য ধরে রাখতে কেও রূপচর্চাতে বেশি সময় দেন, কেও আবার একগাদা টাকা খরচ করে বিভিন্ন রকম প্রসাধনী কিনে ফেলেন, আবার কেও বিজ্ঞাপন দেখে নানা রকম ওষুধ, হরমোন ইঞ্জেকশন কিংবা সাপ্লিমেন্টের ব্যবহার শুরু করেন। এতেও বয়স কিন্তু কম দেখায় না, উল্টো বিভিন্ন রকম অসুখ-বিসুখ বাসা বাঁধতে থাকে। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, বাইরে থেকে যতো দামি প্রসাধনীই আপনি মাখুন না কেনো, ভিতর থেকে শরীরের কলকব্জার যত্ন না নিলে লাভ তেমন একটা হবে না। সেজন্য দরকার প্রাকৃতিক এবং ভেষজ উপাদান। কিছু পানীয় রয়েছে যেগুলো নিয়মিত পান করলে তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব।
সেইসব পানীয়র উপর ভরসা রাখতে পারেন
# গ্রিন টি খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদরা বলেন, দুধ-চা কিংবা দুধ-কফি না খেয়ে গ্রিন টি-তেও চুমুক দিতে পারেন। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা শরীরকে ভিতর হতে সতেজ রাখে এবং বলিরেখাও পড়তে দেয় না।
# প্রতিদিন দুধ খান। দুধে প্রোটিন এবং ক্যালশিয়াম থাকায় ত্বক ভালো থাকবে। তবে ল্যাকটোজ় ইনটলারেন্স থাকলে না খাওয়াই ভালো। সেই ক্ষেত্রে নিয়ম করে সয়া মিল্কও খেতে পারেন। এতে করে ত্বকে বলিরেখা পড়বে না। এ ছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।
# দোকানের প্যাকেটবন্দি জুস না কিনে, বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন আঙুরের রস। আঙুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে করে ত্বকে দাগছোপ, বলিরেখা পড়তে দেয় না। সেইসঙ্গে সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকেও ত্বককে বাঁচায়।
# টমেটোর রস খেয়েছেন? টমেটোর স্যুপও খুব উপকারী। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন নামে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও ভিটামিন এ, কে এবং সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
# গাজর খুব উপকারী একটি খাদ্য। গাজর চোখের দৃষ্টি বাড়াতেও সাহায্য করে। গাজরের রস নিয়মিত খেলে ত্বক ভালো থাকবে।
# প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবু-মধুর পানি খেলে ওজন কমানো যাবে। আবার এই পানীয় শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ২১, ২০২৪ 4:41 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…