আনারস কমাতে পারে বেশ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আনারসের টক-মিষ্টি স্বাদ মনখারাপ এক নিমেষে কাটিয়ে দিতে পারে। তবে শুধু মনই নয়, শরীরেরও যত্ন নিতে পারে এই আনারস। এই ফলের গুণেই অনেক শারীরিক সমস্যা দূর হবে। আনারস খাওয়ার উপকারিতাগুলো তাহলে কী?

এই বর্ষা মৌসুমে বাজারে অন্যান্য ফলের সঙ্গে আনারস দেখা যায়। আনারসের টক-মিষ্টি স্বাদ মনখারাপ এক নিমেষেই কাটিয়ে দেয়। তবে শুধু মনই নয়, শরীরেরও যত্ন নিতে পারে এই আনারস। এই ফলের গুণেই অনেক শারীরিক সমস্যা দূর হবে। তাহলে আনারস খাওয়ার উপকারিতাগুলো কী?

হজমের গোলমাল কমে যায়

Related Post

হজমের সমস্যা বাঙালিদের নিত্যদিনের সঙ্গী। পেটের গোলমাল হলেই অ্যান্টাসিডের খোঁজ পড়ে যায়। তবে এই সমস্যা হাতের মুঠোয় রাখতে আনারস কার্যকরী একটি জিনিস। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলেইন, যা হজমে সহায়কারী উৎসেচকক্ষরণ বৃদ্ধি করে থাকে। পেট ফাঁপা ও অন্যান্য অস্বস্তির দাওয়াইও হতে পারে আনারস।

প্রদাহজনিত সমস্যা দূর

আনারসে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। প্রদাহজনিত যে কোনও সমস্যা নিরাময়েও আনারস ভিষণ কার্যকরী। আনারসে ব্রোমেলাইন থাকার কারণে, প্রদাহনাশক হিসাবে আনারসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিস, সাইনাসের ক্ষেত্রে আনারস খুবই উপকারী।

পানিশূন্যতা রোধ

শরীরে পানির ঘাটতি কমাতে খেতে পারে এই আনারস। এই ফলটিতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি। আনারস শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম শোষণ করে। পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকেও রেহাই পেতে আনারসের ভূমিকা অভাবনীয়।

প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগাতে পারে এই আনারস। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িতে তুলতে আনারস স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। এই আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি। সংক্রমণজাতীয় রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়াই করতে ভিটামিন সি’র জুড়ি নেই।

হার্ট ভালো রাখতে

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান রয়েছে আনারসে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে হার্টের যত্ন নিতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ভিটামিন সি থাকায় আনারস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আনারস হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকিও কমায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on আগস্ট ২৫, ২০২৪ 2:14 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

পুষ্টিবিদরা যা বলেন: সুজি খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…

% দিন আগে

বাংলা এবং হিন্দিতে ‘দরদ’-এর ট্রেলার ও গান প্রকাশ [ট্রেলার]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…

% দিন আগে

মুরগির লেগপিস প্রতিদিন খাওয়া কী ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…

% দিন আগে

উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে নানা অপপ্রচার: সাবধান করেছেন সমন্বয়ক মাসউদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…

% দিন আগে

ইলন মাস্ককে এক লাখ সরকারি চাকরি বাতিলের দায়িত্ব দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…

% দিন আগে

গোল্ডেন আউল: ৩১ বছর ধরে চলা গুপ্তধন অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…

% দিন আগে