পার্লারে গিয়ে পেডিকিয়োর করার সময় পাচ্ছেন না? ফাটা গোড়ালি কিংবা গুফো সেরে যাবে ঘরোয়া কয়েকটি উপাদানে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পায়ের খসখসে চামড়া বা ফাটা গোড়ালির সমস্যা তবু না হয় মোজা পরে না হয় ঢেকে রাখা যায়। তবে পায়ের তলায় যদি গুফো হয়, তার ব্যথা সারবে কীভাবে?

ব্যস্ততা অর্থাৎ ঘরে-বাইরে প্রচুর কাজ। সেই চাপ সামাল দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থায় ওঠার জোগাড়। কখন যে বাইরে যাবেন, তা বুঝতেই পারছেন না। ঘরোয়া টোটকায় টুকটাক মুখের যত্ন নিলেও পায়ের দিকে একেবারে তাকানোই হয় না। পায়ের খসখসে চামড়া বা ফাটা গোড়ালির সমস্যা তবু না হয় মোজা পরে ঢাকা দেওয়া সম্ভব। তবে পায়ের তলায় যদি গুফো হয়, তাহলে তার ব্যথা সারবে কীভাবে? বিউটি পার্লারের কর্মীদের হাতের উপর ভরসা করতে হয়। তবে একেবারে সময় না পেলে ঘরোয়া উপাদানেও কাজ চালাতে পারেন। পায়ের কোন সমস্যায় ঘরোয়া কোন উপাদানটি কাজ দেয় সেটি আজ জেনে নিন।

# পায়ের ত্বক দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় এমনিতেই অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে থাকে। এ ছাড়াও শরীর পানির ঘাটতি হলেও পায়ের পাতা শুষ্কও হয়ে উঠতে পারে।

Related Post

এই ধরনের সমস্যা সহজ সমাধানই হলো নারকেল তেল। ঈষদুষ্ণ পানিতে কয়েক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। তারপর ওই পানিতে পায়ের পাতা ডুবিয়ে বসে থাকুন। পিউমিক স্টোন দিয়ে গোড়ালি ঘষে নিলে মৃত কোষ উঠে যাবে খুব সহজেই।

# আরামদায়ক বা সঠিক মাপের জুতো না পরলে অনেক সময় পায়ের তলার চামড়ার কিছু কিছু অংশ পুরু হয়ে যায়। অনেকেই একে ‘গুফো’ নামেই চেনেন। প্রাথমিক অবস্থায় ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যায় কাজ দেয় বেকিং সোডা।

প্রথমে ছোট একটি পাত্রে পরিমাণ মতো বেকিং সোডা ও পানি ভালো করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মিশ্রণ যেনো খুব পাতলা না হয়ে যায়। এরপর ওই মিশ্রণ পায়ের পাতার তলার খসখসে, পুরু অংশগুলো মাখিয়ে রাখুন। মিনিট ১৫ পর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

# শুধু শীতেই নয়, ফাটা গোড়ালির সমস্যা সারা বছর দেখা দিতেই পারে। খালি পায়ে হাঁটাচলা করলে বা অতিরিক্ত দেহের ওজনের কারণেও অনেক সময় গোড়ালি ফাটতে পারে। ঠান্ডার সময় এই ফাটল আরও গভীর হয়ে থাকে। তখন রক্তপাত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। বাজারে নানা ধরনের ‘ক্র্যাক ক্রিম’ কিনতে পাওয়া যায়। তবে ঘরোয়া উপায়ও অবশ্য রয়েছে।

প্রথমে ছোট একটি পাত্রে ২ চেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে ওই মিশ্রণ পায়ে মেখে রাখুন। ধোয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। পারলে মোজা পরে নিতে পারেন। পরের দিন সকালে উঠেই পায়ের পাতা ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিন এই নিয়ম মেনে চলতে পারলে ফাটা গোড়ালির সমস্যা উধাও হয়ে যাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪ 5:36 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

খাওয়া কমালেই কী ইউরিক অ্যাসিড কমে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খাওয়া কমালেই যে ইউরিক অ্যাসিড কমে যাবে তা কিন্তু নয়।…

% দিন আগে

যেসব অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ থেকে আমাদের সাবধান হতে হবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যথাযথ সোর্স যাচাই না করে ফোনে হুটহাট অ্যাপ ডাউনলোড করে…

% দিন আগে

পাঁচ নায়িকা এবং বলিউডের অন্যতম কমেডি সিনেমা ‘হাউসফুল’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের অন্যতম কমেডি সিনেমার তালিকায় প্রথম দিকেই উঠে আসে ‘হাউসফুল’-এর…

% দিন আগে

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবারও হত্যার চেষ্টা হয়েছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফ খেলার সময় হওয়া গোলাগুলির…

% দিন আগে

পানিতে নেমে শিকার! জাগুয়ারের শক্তির সামনে পাত্তাই পেলো না শক্তিশালী কুমির!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পানিতে জাগুয়ারের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচানোর…

% দিন আগে

সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১ আশ্বিন ১৪৩১…

% দিন আগে