দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় রক ব্যান্ড লিনকিন পার্ক সম্পর্কে অনেকের জানা। ২০০০ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘হাইব্রিড থিওরি’ প্রকাশের পর আলোড়ন পড়ে যায় পুরো বিশ্বজুড়ে। জনপ্রিয় রক ব্যান্ডটি আবারও জনসমক্ষে ফিরে এলো।
ব্যান্ডটির স্বর্ণসময় ছিলো ২০১৭ সাল পর্যন্ত। ৭টি স্টুডিও অ্যালবাম ও অসংখ্য ওয়ার্ল্ড ট্যুরের কল্যাণে সারা বিশ্বের রক এবং মেটাল গানের শ্রোতাদের কাছে অল্প সময়ে প্রিয় হয়ে ওঠে এই ব্যান্ড লিনকিন পার্ক।
তবে সবশেষ অ্যালবাম ‘ওয়ান মোর লাইট’ প্রকাশের মাত্র দুই মাসের মাথায় আত্মহত্যা করেন ব্যান্ডটির মূল গায়ক চেস্টার বেনিংটন। মাত্র ৪১ বছর বয়সে তার আকস্মিক বিদায়ের কারণে ভেঙেচুরে দেয় লিনকিন পার্ককে। যে কারণে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ এই ৭ বছর বন্ধ ছিল ব্যান্ডটির সকল কার্যক্রম।
এই সময় কয়েকটি পুরোনো গান নতুন করে প্রকাশ করা ছাড়া কোনো কিছুতে দেখা যায়নি লিনকিন পার্ককে। এবার সঙ্গী হারানোর শোক পেরিয়ে দীর্ঘ ৭ বছর পর আবারও মঞ্চে দেখা দিলেন মাইক শিনোডা, জো হ্যান, ব্র্যাড ডেলসন ও ডেভ ফ্যারেলরা।
৫ সেপ্টেম্বর একটি লাইভস্ট্রিম শো’ এর মাধ্যমে প্রত্যাবর্তন ঘটলো লিনকিন পার্কের। এই শো’তে ব্যান্ডটির পুরোনো সদস্যদের পাশাপাশি ছিলেন দুই নতুন মুখ এমিলি আর্মস্ট্রং এবং কলিন ব্রিটেন। এখন থেকে ব্যান্ডটির নিয়মিত সদস্য হিসেবে কাজ করবেন এরা। এমিলি থাকবেন কো-লিড ভোকাল হিসেবে এবং ড্রামার হিসেবে কাজ করবেন কলিন। লিনকিন পার্কের সঙ্গে তারা নতুন যুক্ত হলেও রকের দুনিয়ায় পূর্ব হতেই পরিচিত এই দু’জন।
তাদের বিষয়ে ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ভোকাল মাইক শিনোডা বলেছেন, ‘এমিলি এবং কলিনের সঙ্গে যতো কাজ করছি, ততোই যেনো মুগ্ধ হচ্ছি তাদের বিশ্বমানের প্রতিভায়। নতুন লাইনআপ, তাদের সঙ্গে প্র্যাকটিস এবং নতুন সংগীত তৈরির অভিজ্ঞতা আমাদের নতুনভাবে আরও শক্তিশালী করেছে।’ শুধু নতুন সদস্যই নয়, লিনকিন পার্ক এদিন জানিয়েছে যে, নতুন অ্যালবাম এবং ওয়ার্ল্ড ট্যুরের খবর।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org