ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ২৮ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিএনপির দেয়া আলটিমেটাম। এর মধ্যে যদি ইলিয়াস আলী ও তার গাড়ির ড্রাইভারকে না পাওয়া যায় তাহলে দেশব্যাপী শুরু হবে হরতাল-ধর্মঘট। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমনিতেই নাজুক। তারওপর হরতাল-ধর্মঘটে দেশ একেবারেই অচল হয়ে পড়বে।
১৭ এপ্রিল রাতে নিখোঁজ হন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী ও তার ড্রাইভার। এ ঘটনার পরদিন ১৮ এপ্রিল থেকেই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো ক্ষোভে ফেটে ওঠে। সারাদেশে ওইদিন বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করে। পরদিন বৃহস্পতিবার ১৯ এপ্রিল সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় পালিত হয় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। এরপরও যখন ইলিয়াস আলীর কোন খোঁজ না পেয়ে ২২ এপ্রিল ডাকা হয় দেশব্যাপী হরতাল। এরপর এই হরতাল আরও দুই দিন করা হয়। ২৩ ও ২৪ এপ্রিল সারাদেশে হরতাল পালিত হয়। এরপর ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে ৪ দিনের আলটিমেটাম দেন। যা আজ ২৮ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। সেদিনই জানানো হয় ২৮ এপ্রিলের মধ্যে জীবিত ইলিয়াস আলী ও তার ড্রাইভারকে উদ্ধার করতে সরকার ব্যর্থ হলে ২৯ তারিখ থেকে কঠোর আন্দোলনে যাবে বিএনপি তথা তাদের শরীক দলগুলো।
জামায়াতে ইসলামী নীরব কেনো?
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ তেমন একটা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে না কেনো? এমন প্রশ্ন করেছেন সাধারণ জনগণ। সামপ্রতিক সময়ের এই ঘটনাগুলো জামায়াতে ইসলামী কি দৃষ্টিতে দেখছেন এমন প্রশ্ন করা হয় জামায়াতে ইসলামীর এক নেতাকে। তিনি প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বলেন, বিএনপির সব আন্দোলনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী আছে এবং থাকবে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যতটুকু করার দরকার আমরা করেছি। জামায়াতে ইসলামীর এতো নীরব ভাবটা অনেকেই ভালো দেখছেন না এ প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা বলেন, আমাদের দোষ ঘাটে ঘাটে। তাই চুপচাপ থাকাটাকেই আমরা ভালো মনে করছি।
কিন্তু আসলে কি তাই? জামায়াতে ইসলামী কেনো এতো নীরব। এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে আমরা আলাপ করি সাধারণ জনগণের সঙ্গে। অনেকের ধারণা জামায়াতে ইসলামী নিশ্চয়ই কোনো না কোনো ফন্দিফিকির আটছেন। আবার অনেকেই মনে করেন, এমনিতেই তাদের যুদ্ধাপরাধীর বিচার চলছে, এই অবস্থায় তারা বেশি নড়াচড়া করলে তাদের ক্ষতি হবে এ কারণেই হয়তো তারা ঘাপটি মেরে আছে। আসলে প্রকৃত ঘটনা কি তা সময় হলেই জানা যাবে।
পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি ও সরকার টেনশনে
পরবর্তী আন্দোলনের কি কর্মসূচি হবে তা নিয়ে বিএনপি ও সরকার উভয়ই টেনশনে রয়েছে। কারণ জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আর সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক রক্তারক্তির ঘটনা ঘটে থাকে। সেটি সরকারের জন্য সুখকর নয়। আবার আন্দোলনরত বিএনপির জন্যও এটি একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এমনিতেই অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় দিশেহারা তারওপর হরতাল-ধর্মঘট। এক কথায় মানুষ হরতালের বিরুদ্ধে। আর তাইতো বিএনপিও এ বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারণ এক দিন দুই দিন বিষয় নয়। যদি টানা হরতাল করতে হয়, তাহলে সে হরতাল কতখানি সফল হবে তা নিয়ে চিন্তিত বিএনপি।
গোয়েন্দারা ইলিয়াস নিখোঁজ রহস্যে এখনও কিনারা পাইনি
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী অপহরণ রহস্যের জট খুব শিগগিরই খুলছে না। বরং দিন দিন জটিল হচ্ছে ও গুজব আরও বাড়ছে। সময় যত গড়াচ্ছে গুজবের ডালপালা ততই বাড়ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা এ পর্যন্ত যা বলেছেন, তার অর্থ অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানোর মতো। আশ্বস্ত হওয়ার মতো সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য তারা দিতে পারেননি। এ ঘটনায় গোয়েন্দারা এখনও কোন কূলকিনারা করতে পারেননি। তারা অন্ধকারে রয়ে গেছেন। বরং অনেকের মতে, ইলিয়াস আলীর ভাগ্য সরকার ও বিরোধী দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরকে দোষারোপ করছে। প্রথমদিকে বিএনপির বেশির ভাগ নেতা আশাবাদী ছিলেন ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন। কিন্তু এখন অনেকেই সন্দিহান হয়ে উঠেছেন। আস্তে আস্তে তারা আশা ছেড়ে দিচ্ছেন। উল্টো সংবাদ মাধ্যম অফিসগুলোতে ফোন করে তারা জানতে চাইছেন ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন কিনা। গোয়েন্দা সংস্থা নাকি সন্ত্রাসী গ্রুপ ইলিয়াস আলীকে অপহরণ করেছে তা ১০ দিনেও পরিষ্কার না হওয়ায় বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে জনমনেও। অজানা আশঙ্কায় তাদের মধ্যে শঙ্কাও বেড়েছে। পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ছে নানা আলোচনা ও গুঞ্জন। কোন ক্ল্যু খুঁজে না পাওয়ায় ইলিয়াস আলী আদৌ বেঁচে আছেন কিনা এ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার ২৬ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আশরাফুল ইসলাম বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে জীবিত উদ্ধারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানানোর পর অনেকের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর খোঁজ পেতে ইতিমধ্যেই বিএনপিদলীয় দুই সংসদ সদস্যসহ প্রায় ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব। অর্ধশতাধিক সন্দেহভাজন ব্যক্তির মোবাইল এবং ল্যান্ডফোনে আড়িপাতা ছাড়াও তাদের গতিবিধি মনিটরিং করা হচ্ছে। ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যেই র্যাব ও পুলিশ দেশের কমপক্ষে ২৫টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
This post was last modified on এপ্রিল ২৮, ২০১২ 9:51 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে চামড়ায় টান ধরা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে সমস্যা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অসতর্কতাবশত: হাত থেকে পড়ে গেলেও ফোনের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমাতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না, কারণ তাড়াহুড়া করলেই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে স্ট্রিমিং হতে চলেছে সুপারস্টার শাকিব…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়া, সাংবাদিককে হুমকি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাতিশালের মধ্যে ঘুমোচ্ছে পুচকে একটি বাচ্চা হাতি। শাবকের ঘুম ভাঙাতে…
View Comments
Respect to op , some great entropy.
aGhit7 Im thankful for the article.Really thank you! Want more.
Wonderful explanation of facts aavialble here.