দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অভিনয়ের জন্য দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন জাকিয়া বারী মম। অপরদিকে নিজের মতামতের স্পষ্টতার জন্যও সমানভাবে ভক্তদের কাছে জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে রয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে পর্দায় মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। তার গানের প্রতিও রয়েছে ভালোবাসা।
পর্দার অভিনয়ের বাইরেও তার কণ্ঠ বাজতে দেখা যায় বিজ্ঞাপনে, ডাবিংয়ে। বহুমুখী কাজের ভেতর থেকে এবার দর্শকদের সামনে নিয়ে হাজির হলেন রবীন্দ্রসংগীত। এবার “তোমার খোলা হাওয়া’ গানটি কণ্ঠে তুলেছেন মম। এপ্রিলে গানটির রেকর্ডিং এবং শুটিং শেষ হয়। মাঝে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির জন্য সেই প্রজেক্টও পিছিয়ে পড়ে। যা এবার মুক্তির আলোয় ডানা মেলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত বলে জানান গানটির সংগীতায়োজনে থাকা আহমেদ রাজীব। এ মাসেই একটি ইউটিউব চ্যানেলে গানচিত্রটি প্রকাশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রবীন্দ্রসংগীত সম্পর্কে মম বলেছেন, ‘আমি মাঝে-মধ্যে গান করি, নিজের জন্যই। তবে কখনও এভাবে আয়োজন করে গান গাওয়া হয় না সচরাচর। এই গানটিতে আমি কণ্ঠ দিয়েছিলাম বেশ আগে। এবার সেটি প্রকাশ হতে যাচ্ছে শুনে বেশ ভালো লাগছে। আমিও আগ্রহ নিয়ে আছি সবার সঙ্গে গানটি শোনার জন্য।’ এর আগে তিনি শিহাব শাহীন পরিচালিত “রূপকথা এখন আর হয় না’ নাটকে গান গেয়েছেন। তার আগে আমজাদ হোসেনের লেখা এবং আলাউদ্দিন আলীর সুরে “একবার যদি কেও ভালোবাসতো’ গানে কণ্ঠ দিয়ে বেশ প্রশংসিত হন।
আহমেদ রাজীবের উদ্যোগে ২০জন কণ্ঠশিল্পীর কণ্ঠে ২০টি গানের অডিও ও ভিডিও নির্মাণ করেছে নতুন প্রতিষ্ঠান এনএইচটি মিউজিক বক্স। ইতিমধ্যে প্রজেক্টের আওতায় নির্মিত ৫টি গান ইতিমধ্যেই প্রকাশ হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় শীঘ্রই প্রকাশ হচ্ছে মম’র কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত “খোলা হওয়া’।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org