দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৯ বছর পরে বলিউডে ফিরছেন অথচ অন্য এক আদনান সামি! এখন প্রশ্ন হলো কেনো অন্যরকম? আসলে আদনান সামি শরীর যতোটা মোটা ছিলো এখন দেখা যাচ্ছে একেবারেই স্লিম।
উপমহাদেশের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামির কথা নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে। নব্বই দশকের ক্যাসেট, ভিসিআর -এর যুগে হরহামেশাই বাজতো আদনান সামির গান। তারপর তার গানের ধারা স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকলেও ২০১০ এ এসে অস্তিত্ব হারাতে থাকেন আদনান সামি। তারপর একরকম লাপাত্তাই হয়ে যান গানের জগৎ হতে। যদিও শেষের কয়েক বছর তিনি শুধুই সংগীত পরিচালনার কাজই চালিয়ে যান।
এদিকে ইতিমধ্যেই কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। এরমাঝে তার দৈহিক গড়ন নিয়েও শুরু হয় চর্চা। হঠাৎ সামি নিজেকে ধরা দেন স্লিম ফিগারের এক অন্যরকম লুকে। তা নিয়ে নেটিজেনরা বেশ আলোচনা করলেও অনেকেরই আগ্রহ ছিল এই শিল্পীর ফিরে আসা নিয়ে।
শোনা যাচ্ছে যে, সবকিছু গুছিয়ে আবারও হিন্দি সিনেমার প্লেব্যাকে ফিরে আসছেন আদনান সামি। একদিন দুদিন নয় দীর্ঘ ৯ বছর পর ফিরছেন তিনি; কাজ করবেন কাসুর ও ভিকি অউর বিদ্যা কা ওয়ালা নামে দু’টি সিনেমায়।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার অনুরাগীদের উদ্দেশে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আদনান সামি। জানিয়েছেন, তার বেশ কিছুটা সময়ের দরকার ছিল বিধায় তিনি বিশ্রামে ছিলেন। এই গায়কের কথায়, ‘কোনো প্লান ছিল না, আবার হিসেবও ছিল না। আমার নিজের একটু সময় দরকার ছিল নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার জন্যই, নতুন গানের জন্য নিজেকে তৈরি করবো বলে। যে নতুন গান আসবে সেটাকে গ্রহণ করার জন্যই তৈরি হবো বলেই সময় নিতাম। তবে আমি ভাবিনি এতোটা সময় লেগে যাবে। আসলে সময় বড্ড দ্রুতই কেটে যায়। আমার তো আজও মনে হয় যে, এই তো সেদিন বজরঙ্গী ভাইজান হলো আর তাতেই আমি ভর দো ঝোলি গাইলাম। আমি আমার নতুন গানগুলো নিয়েও দারুণ উচ্ছ্বসিত।’
তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন, ‘আমি এখন কাজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। বিশ্ব জুড়ে নানা জায়গায় আমি বর্তমানে কনসার্ট করে বেড়াচ্ছি। আবার রেকর্ডিং ফেজেও ফিরেছি। স্বাধীনভাবে কিছু গানও বানাচ্ছি, এটা আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।’
আদনান মশকরা করে বললেন, আসলে কিছুটা অলস হয়ে গেছেন তিনি। তবে তার এই ৩৫ বছরের ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ধরনের গানও গেয়েছেন। তবে তিনি খুব বেশি গান গাননি কারণ হলো গানটা তার কাছে ইমোশনাল একটা বিষয়। শুধু ব্যবসায় নয়। তার ভালো লাগার জায়গাও ছিলো এটি। তথ্যসূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org