মাইগ্রেনের যন্ত্রণা ও মানসিক চাপ সামলাতে চুমুক দিতে পারেন কয়েকটি উষ্ণ পানীয়ে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাইগ্রেনের ব্যথায় ‘পেনকিলার’ জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথার ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতেই পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে।

আবহাওয়া পরিবর্তনে হোক কিংবা চড়া রোদ লেগেই হোক, মাসের তিন-চারটে দিন মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু হতে হয় অনেককে। কোনও কোনও মাসে ২/৩ বার এমন যন্ত্রণা হয় যে, তখন কাজ করা দুষ্কর হয়ে ওঠে। যদিও মাথাব্যথা খুবই সাধারণ উপসর্গ। কোন মাথাব্যথা মাইগ্রেনের, কোনটা তা নয়, তা বুঝতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। অনেকের মাথা দপদপ করতে থাকে। কারও কারও আবার মাইগ্রেনের যন্ত্রণা মাথার যে কোনও এক পাশে হয়ে থাকে। সময় বিশেষে আবার তার দিক পরিবর্তিতও হতে পারে।

এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, এই ধরনের যন্ত্রণা নাকি জিনগত সমস্যার কারণে হয়। পরিবারের কারও থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। তাহলে এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় কী? সাধারণত মাইগ্রেনের ব্যথায় ‘পেনকিলার’ জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথার ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতেই পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। এমন কিছু ভেষজও রয়েছে, যেগুলো পানীয় হিসাবে খেলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় আরামও পেতে পারেন। জেনে নিন, সেগুলো আসলে কী কী।

Related Post

আদা ও হলুদ দেওয়া চা

আদা ও হলুদ— দু’টি ভেষজই দারুণ কাজের উপাদান। এই দু’টি ভেষজেরই প্রদাহনাশক গুণও রয়েছে। যা মাইগ্রেনের কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। পানির মধ্যে কয়েক টুকরো আদা ও কাঁচা হলুদ ফুটিয়ে পানীয় তৈরি করে নেওয়া যেতেই পারে। চায়ের মতো করে সকাল-সন্ধ্যায় খাওয়া যায় এই পানীয়টি।

পুদিনা ও ক্যামোমাইল চা

পুদিনা ও ক্যামোমাইল চায়ের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা স্নায়ুর উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। পুদিনা মাথা ও ঘাড়ের পেশি শিথিল রাখতে সাহায্য করে। অপরদিকে, ক্যামোমাইল মানসিক চাপ দূর করে। গরম পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা ও ক্যামোমাইল ফুলের শুকনো পাপড়ি ফুটিয়ে সেই পানীয় খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা বশে থাকবে।

ল্যাভেন্ডার ও লেবুর রস

ল্যাভেন্ডার চায়ের মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় এই পানীয়টি বিশেষভাবে কাজ করে। মানসিক চাপ ও উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখে এই ল্যাভেন্ডার। লেবুর তরতাজা ঘ্রাণে মন আরও চনমনে হয়ে ওঠবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪ 1:43 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

মার্ক জাকারবার্গের হাতের বিলাসবহুল ঘড়ির দাম কতো জানেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও থ্রেডস অ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার…

% দিন আগে

উত্তরায় জসীমউদ্দিনে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ডোমিনোজ পিৎজা’র ৩৪তম শাখার উদ্বোধন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পিৎজা চেইন এবং দেশের শীর্ষ পিৎজা ব্র্যান্ড…

% দিন আগে

৯ বছর পরে বলিউডে ফিরছেন অন্য এক আদনান সামি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৯ বছর পরে বলিউডে ফিরছেন অথচ অন্য এক আদনান সামি!…

% দিন আগে

রাশিয়া গোপনে চীনে ড্রোন প্রকল্প চালু করলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দূর-পাল্লার সামরিক ড্রোন উৎপাদন করতে…

% দিন আগে

‘আসুন স্যার’, থানায় ডেকে নকল আইপিএসকে জামাই আদর করলো পুলিশ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘আসুন স্যার’, থানায় ডেকে নকল আইপিএসকে জামাই আদর করলো পুলিশ!…

% দিন আগে

যেনো পাহাড় ভেদ করে সূর্যোদয় ঘটতে যাচ্ছে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন ১৪৩১…

% দিন আগে