দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রযুক্তিগত ব্যবসা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজন করে ‘বেসিস আমেরিকা ডেস্ক স্টেকহোল্ডার মিট’।
বেসিস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক্টিং ইকোনমিক ইউনিট চিফ জেমস গার্ডিনার, মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জন ফে, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, বেসিসের পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম, বিপ্লব ঘোষ রাহুল, বেসিস আমেরিকা ডেস্কের চেয়ারম্যান নূর মাহমুদ খানসহ ৭০ জনেরও বেশি বেসিস আমেরিকা ডেস্ক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক্টিং ইকোনমিক ইউনিট চিফ জেমস গার্ডিনার বাংলাদেশ ২.০-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলির উপর আলোকপাত করেন, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গভীরতর সংহতি অর্জনের চেষ্টা করছে। তিনি সাইবার নিরাপত্তা অবকাঠামোকে শক্তিশালী করার, সঠিক নীতিমালা নিশ্চিত করার এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। গার্ডিনার সরকারী অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন এবং বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসাবে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান, বিশেষ করে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে। তিনি আন্তর্জাতিক মানের সাথে সঙ্গতি রেখে নৈতিক ব্যবসায়িক চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার উপর জোর দেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জন ফে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণের প্রতি দূতাবাসের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি অংশগ্রহণকারীদের আশ্বস্ত করেন যে দূতাবাস বিভিন্ন উপায়ে সংযোগ সহজতর করার জন্য সহযোগিতা করবে, যার মধ্যে রয়েছে আইটি/আইটিইএস শিল্প প্রতিনিধিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা, বি২বি ম্যাচমেকিং সহায়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন বাণিজ্য প্রদর্শনীগুলিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে সমর্থন করা।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আইটি খাতের সবচেয়ে বড় বাজার, এবং ভবিষ্যতে এই বাজার আরও বড় হবে। এখানে বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) আনার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে এবং যৌথ উদ্যোগের (জয়েন্ট ভেঞ্চার) মাধ্যমে আরও বেশি সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। আমাদের আরও বেশি বি২বি ম্যাচমেকিং সেশন আয়োজন করা উচিত, কারণ আইটি খাত বাংলাদেশের রপ্তানি বহুমুখীকরণের অন্যতম প্রধান অংশ। তিনি মার্কিন দূতাবাসের বেসিসের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রতি সমর্থন এবং শক্তিশালী সহযোগিতার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের আইটি খাতে দক্ষতার ঘাটতি চিহ্নিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সমীক্ষা প্রয়োজন, এবং এই ঘাটতি পূরণের জন্য মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রণয়ন করার আহ্বান জানান। তিনি মার্কিন দূতাবাস এবং বেসিসের সমন্বয়ে বিআইটিএম-এর সাথে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশে শীর্ষ পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্মেলন আয়োজনের জন্য মার্কিন অংশীদারদের সহযোগিতার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উভয় দেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসা ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org