দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ত্বকের জেল্লা ফেরাতে চান সবাই। তাহলে কোন পানীয়তে চুমুক দিলে জেল্লা ফিরবে কয়েক মিনিটে? আজ আলোচনা করা হবে সেই বিষয়টি নিয়ে।
ত্বকের জেল্লা বাড়াতে ভিষণ কার্যকরী কিছু পানীয়। প্রতিদিন খালি পেটে এই সব পানীয়ে চুমুক দিলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে একেবারে তরতরিয়ে। আজ তেমনই ৪ ড্রিংকের কথা রয়েছে এই নিবন্ধে।
মধু ও লেবু পানি
সকালে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে একটি লেবু ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। খালি পেটে ওই পানীয় পান করুন। এই পানীয় ছত্রাকের সংক্রমণও রুখে দিতে সক্ষম। যে কারণে ত্বকে কোনও ইনফেকশনও হতে পারে না। এই পানীওতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা ত্বককে আরও পুনরুজ্জীবিত করে। সেইসঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে এই পানীয়। এছাড়াও মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালের ধর্মের কারণে ত্বকে ব্রণের দাপটও কমে।
হলুদ এবং আদা
হলুদে রয়েছে কারকিউমিনের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধর্ম। এই দিক থেকে পিছিয়ে নেই আদা। এই ভেষজেও রয়েছে বিশেষ উপাদান জিঞ্জেরল। তাই এই দুই ভেষজ দিয়ে তৈরি পানীয় ত্বকের জন্য উপকারী, সেটি বলাই বাহুল্য। এর গুণেই ত্বকের সংক্রমণও দূরে থাকবে। ত্বকে ভাঁজ এবং বলিরেখাও দেখা যাবে না। অকালে বুড়িয়ে যাবে না ত্বক। তাই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক পেতে নিয়মিত খালি পেটে আদা এবং হলুদের পানি পান করতে হবে।
সেজন্য প্রথমে দেড় গ্লাস পানি ফোটাতে থাকুন। তাতে ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো ও ২ ইঞ্চি আদা থেতো করে নিন। কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন পানি। এরপর একটি গ্লাসে ছেঁকে নিন। এই পানীওতে চুমুক দিন প্রতিদিন সকালে।
অ্যালোভেরা জুস
প্রচুর ভিটামিন ও খনিজে ঠাসা অ্যালোভেরা জুস। তাই মর্নিং ড্রিঙ্ক হিসেবে এর কোনও তুলনায় হয় না। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, সি ও বি। সেইসঙ্গে এই ভেষজে হদিশ পাওয়া যায় ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফলিক অ্যাসিডের। এই সব উপাদান ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যে কারণে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও তখন থাকে অটুট। মিস হয় না জেল্লা।
ডাবের পানির তুলনা নেই
সকালে খেলে পেটে ডাবের পানিও চুমুক দিতে পারেন। শরীরের পাশাপাশি ত্বককেও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়। এই ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে ত্বককে টানটান রাখে এই পানীয়টি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ ডাবের পানি ত্বকে ফ্রি ব়্যাডিকেলের ক্ষতি আটকে দেয়। এতে থাকা ভিটামিন বি৩, বি২ ও সি ত্বকের জেল্লা বাড়ায় বেশ কয়েক গুণ। তাই নিয়মিত খালি পেটে এই সব পানীয়ে চুমুক দিন। তাতে আপনার ত্বক হবে ঝলমলে।
প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্যই, এটি কোনও ওষুধ কিংবা চিকিৎসার অঙ্গ নয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণ করুন। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org